এলিয়ট রোডের অগ্নিকাণ্ডে এক গুচ্ছ প্রশ্নের সামনে প্রশাসন

শনিবার মাঝরাতে আগুন লাগে ১২বি এলিয়ট রোডে। সেখানে কোনটাতে অফিস আবার কোনওটা ব্যবহৃত হয় গুদাম হিসেবে। শুধু তাই নয়, এই ১২ বি এলিয়ট রোডে রয়েছে গেস্ট হাউস থেকে বসতবাড়িও। তবে শনিবারের রাতের এই ভয়াবহ আগুন কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিল প্রশাসনকে। এদিনের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও গুদাম থাকার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স, ফায়ার সেফটি লাইসেন্স ছিল কি না তা নিয়েও। এমনকি, নিজস্ব অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দাহ্য বস্তুর সামগ্রীতে ঠাসা গুদাম কী ভাবে তৈরি হল তা নিয়েও জোর জল্পনা শিরু হয় সব মহলেই। তবে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছেন দমকল আধিকারিকেরা। একইসঙ্গে সূত্রে এ খবরও মিলছে, কীভাবে আগুন লাগল তা জানতে হবে ফরেন্সিক পরীক্ষাও।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ১২টা নাগাদ আগুন লাগে ১২ বি এলিয়ট রোডে। এরপর ১৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় মধ্যরাত নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রবিবার সকালেও তিনটি ইঞ্জিন কুলিং প্রসেসর কাজ করে। এদিকে শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তবে, সূত্রের খবর, এই আগুন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বেগ পেতে হয়েছে দমকল কর্মীদের। একটাই প্রবেশপথ। ভিতরের অংশ পরিসরে ছোট। তার উপর ভিতরে ছোট ছোট ঘর করে গুদাম। তাই আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে ছাদ ভেঙে পাশের বাড়ির ওপর থেকে জল দিতে হয়েছে দমকল কর্মীদের। কাগজের তৈরি সামগ্রী, ফিনাইল, সুগন্ধির মতো সামগ্রী থাকার কারণে পুরো অংশ কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। যার জেরেও বেগ পেতে হয়েছিল দমকল কর্মীদের। দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের প্রথম লক্ষ্য ছিল গুদামের ভিতরেই আগুন অ্যারেস্ট করে রাখা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − three =