তেইশের নভেম্বর ঘটনা উস্কে দিল বাইশের অক্টোবরের স্মৃতিকেই

তেইশের নভেম্বর ঘটনা উস্কে দিল বাইশের অক্টোবরের স্মৃতিকেই। এদিনও মধ্যরাতে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে আটক করল পুলিশ। ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা শনিবার গান্ধিমূর্তির পাদদেশে যে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিল সেই কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হতে দেখা যায়। পরবর্তীতে তাদেরকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, রাত ন’টা নাগাদ ফের তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়ে ফের রণংদেহী মূর্তিতে দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের। আবারও গান্ধি মূর্তির পাদদেশে অবস্থান শুরু করেন। এরপর মধ্যরাত থেকে গান্ধি মূর্তির চারপাশে বাড়তে থাকে পুলিশের সংখ্যা। আসেন ময়দান থানার কর্তারাও। ফের শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। উঠতে থাকে স্লোগান। শেষে পুলিশ আবারও চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে নিয়ে যায়। যদিও বারবার পুলিশি বাধার মুখে পড়েও তাদের দাবি নিয়ে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কথায়, ‘যতবার আটক করতে পারে করুক, ছাড়া পাওয়ার পর আবারও এই গান্ধি মূর্তির পাদদেশেই অবস্থান চলবে, লড়াই চলবে।

প্রসঙ্গত, বাইশের অক্টোবরের একদম শেষদিকে এরকমই এক রাত দেখেছিল তিলোত্তমা। সেই দিনও সল্টলেকের করুণাময়ীতেও টানা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। রাত একটু গভীর হতেই আচমকা গোটা এলাকায় বাড়তে থাকে পুলিশের আনাগোনা। রাত ১০টার কিছু পরে গোটা এলাকা কার্যত পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়। ঘড়ির কাটা ১২টার গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই শুরু হয় পুলিশি অভিযান। কার্যত টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার রেশ পড়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলেও। বেশ কয়েকদিন ধরে টানা প্রতিবাদ বিক্ষোভও চালিয়েছিল বিরোধীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + seventeen =