সন্দেশখালি যাওয়ার সবুজ সংকেত পেল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

কলকাতা হাইকোর্ট সবুজ সংকেত দিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য। অর্থাৎ, আইনগত দিক থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা আর নেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ নির্দেশ দেন, আগামী ১ মার্চ সন্দেশখালির নির্দিষ্ট তিনটি জায়গায় যেতে পারবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। এর পাশাপাশি  আদালত এও জানিয়েছে, সন্দেশখালির অন্তর্গত মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া ও নস্করপাড়ার রাসমন্দির এলাকায় যেতে পারবে ওই ৬ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। তবে একইসঙ্গে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এও স্পষ্ট নির্দেশ দেন, এমন কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না, যার কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এই মর্মে স্থানীয় পুলিশের কাছে মুচলেকাও জমা দিতে হবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত রবিবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফ্যাইন্ডিং টিম সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েছিল। ৬ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন পটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস-সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা। রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মাঝ পথে পুলিশ তাঁদের আটকে দিলে তুমুল বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এমনকী ভোজেরহাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল বলে দাবি আইনজীবীর।

পুলিশের তরফ থেকে এই বাধা পাওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের দাবি, সন্দেশখালির অন্তর্গত মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া ও নস্করপাড়া রাসমন্দিরে যেতে অনুমতি দিক হাইকোর্ট। মামলকারী সংস্থার আইনজীবীর দাবি, ওই তিনটি অঞ্চলে কোনও ১৪৪ ধারা জারি নেই। যদিও রাজ্যের তরফে পাল্টা যুক্তি দেখানো হয়, কোনও বিধিবদ্ধ সংস্থাকে কখনও আটকানো হয়নি। কিন্তু এই সংস্থায় কারা আছেন? তারা কেন যাবেন? সেটাই প্রশ্ন রাজ্যের। যদিও বিচারপতি কৌশিক চন্দ ওই প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালির ওই উল্লেখিত জায়গাগুলিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়ে জানিয়ে দেন, ১৪৪ ধারা না থাকলে যে কেউ যেতে পারেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + twenty =