বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ধরনায় আবেদন সংক্রান্ত মামলায় আগামী বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কলকাতা হাইকোর্ট। তার আগে রাজ্য নিজেদের অবস্থান জানাবে এবং এরপরই সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি সিনহা পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘এমন নির্দেশ দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এই আবেদন নিয়ে যেন আর কেউ না আসে।’
আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিনহার বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। রাজ্যের কাছে বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য কি সত্যি কোনও পদক্ষেপ নিত কি নাযদি অন্য কেউ রাজভবনের সামনে ধরনায় বসতে চাইত।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজভবনের সামনে যেখানে ধরনা চলেছিল, শুভেন্দু অধিকারীরা চেয়েছিলেন সেই জায়গাতেই ধরনায় বসতে। কিন্তু রাজভবনের সামনে ধরনায় বসা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল আদালত। সেক্ষেত্রে বিকল্প জায়গার প্রস্তাব জমা দিতে বলেছিল আদালত। সেই মতো শুভেন্দুদের তরফে জানানো হয়েছিল, তারা রাজ্য পুলিশের ডিজির অফিসের সামনে ধরনায় বসতে চান। নবান্ন ও ভবানীভবন যে কোনও জায়গায় ডিজি অফিসের সামনে অনুমতি জন্যও আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ভবানীভবন অত্যন্ত সংকীর্ণ জায়গা বলে এদিন মন্তব্য করেন বিচারপতি। তাছাড়া ভবানীভবনের সামনে সপ্তাহান্তে ধরনা কতটা সম্ভব, সেই নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি। এদিকে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘আমাদের শর্ত দিলেও সমস্যা নেই। সময় বেঁধে দিলেও সমস্যা নেই। পাঁচ দিন একজন নেতা এক লাখ লোক নিয়ে রাজভবনের সামনে ধরনা দেয়। পুলিশ তখন কিছু বলেনি। এখানে কেউ লাঠি বা অস্ত্র নিয়ে ধরনা করছে না।’
এরই প্রেক্ষিতে শুনানি চলাকালীনই বিচারপতি সিনহা রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, রাজভবনের সামনে যাঁরা আইন অমান্য করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি? রাজভবনের আশপাশে কতটা জায়গা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তা জানতে চান বিচারপতি সিনহা। জবাবে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, রাজভবন থেকে কেসি দাস ও নর্থ গেট থেকে টেলিফোন ভবন পর্যন্ত। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, এমন নির্দেশ দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এই আবেদন নিয়ে যেন আর কেউ না আসে।