ব্রিগেডে বামেদের সভা। এদিকে নিঝুম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউর বাড়ি। তিনি যে নেই। তাঁকে ছাড়া প্রথম ব্রিগেড। গত বছরের অগাস্টে তাঁর প্রয়াণের পর এইবার তিনি ছাড়াই ব্রিগেড হচ্ছে বামেদের।ফলে প্রতিবারের মতো এবারও বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ হলেও কোথাও যেন সুরটা কিছুটা হলেও আলাদা। কারণ,বাম-কর্মী সমর্থকরা সব্বাই মনে প্রাণে অনুধাবন করছেন তাঁর এই অনুপস্থিতি। পড়ে আছে শুধুই স্মৃতি।
২০১৯ সালে শেষবার ব্রিগেডের ময়দানে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর অসুস্থতার কারণে যেতে পারতেন না। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য মুখিয়ে থাকেন দলের লোকজন। সেই কারণে, আগেই বাম নেতারা গিয়ে বুদ্ধবাবুর অডিয়ো বার্তা নিয়ে আসতেন। সেই বার্তাই চালানো হত ময়দানে। আর নিজের বাড়িতে বসেই সকাল থেকে নজর রাখতেন ব্রিগেডে কী হচ্ছে তার প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখতেন।
বুদ্ধদেববাবুর অনুপস্থিতি নিয়ে বুদ্ধজায়া মীরা ভট্টাচার্য বলেন,’একবছর হতে চলল বুদ্ধবাবু নেই। কিন্তু এখনও মানুষ ওঁকে মনে রেখেছেন।’ এ দিন কিছু পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে দেখা যায় মীরাদেবীকে। বলেন, ‘আগে যেদিন ব্রিগেডের সময় নির্ধারিত হত, তার আগে শুধু সকালের খাবার খেতেন। দুপুরের খাবার বাড়িতে খেতেন না। পৌঁছে যেতেন আগে ভাগেই।’ সঙ্গে এও মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না,’যখন বামপন্থী সরকার ছিল তখন এভাবে ধর্মের বিভাজান আসেনি। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি কখনই হয়নি।’