কলকাতায় প্রথম সিএসআর-এর ফান্ডে তৈরি হল হকার পুনর্বাসন ও সৌন্দর্যায়ন

কলকাতা শহরে এই প্রথম কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি বা সিএসআর ফান্ডে তৈরি হল হকার পুনর্বাসন ও সৌন্দর্যায়ন। এই সৌন্দর্যায়নের একটি অঙ্গ দেবী দুর্গার প্রতিমা স্থাপনও। কারণ, কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাইপাসের ধারে অভিষিক্তা মোড়ে একের পর এক দোকান গজিয়ে উঠেছিল। সেখানে ফুটপাত দখল করেই চলছিল বিকিকিনি। বাইপাসের ধারে শপিং কমপ্লেক্সের কাছেই জবরদখলের ফলে একদিকে তিলোত্তমার সৌন্দর্যায়নে ব্যাঘাত ঘটছিল, অন্যদিকে পথচারীরাও হাঁটাচলায় সমস্যায় পড়ছিলেন বলে অভিযোগ আসছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুরসভা জানতে পারে বাইপাসের ধারে অভিষিক্তা মোড় থেকে যাদবপুর থানা যাওয়ার পথে বাঁদিকের ফুটপাত প্রায় হকারের দখলে চলে গিয়েছে। এদিকে সেখানে একটি শপিং মলও রয়েছে। এলাকা ও বাইরের বহু মানুষ সেখানে শপিং করতে আসেন। ফলে ওই জায়গায় দিনের অধিকাংশ সময় ভিড় লেগে থাকে। শেষ পর্যন্ত এলাকার সৌন্দর্য ফেরাতে উদ্যোগী হন কাউন্সিলর অরিজিৎ দাস ঠাকুর। আলাপ আলোচনার পর হকারদের স্টলগুলি সুন্দর করে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমস্যা কাটাতেই কলকাতা পুরসভার হাতে আসে কর্পোরেট অনুদানও। যার ছোঁয়ায় এক লহমায় বদলে গেল আনোয়ার শাহ বাইপাস কানেক্টরের ছবিটা। রাতারাতি  প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া সব দোকান উধাও। হকারদের জন্য তৈরি হল আধুনিক মানের স্টল। অভিষিক্তা মোড় থেকে যাদবপুর থানা যাওয়ার পথে আনোয়ার শাহ কানেক্টরের বাঁদিকের ফুটপাতে গোটা দশেক নয়া স্টল পেলেন বিক্রেতারা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে এই প্রথম কোনও কর্পোরেট সংস্থার পুঁজিতে হকার স্টল তৈরি হল। পাশাপাশি ইএম বাইপাস ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের কানেক্টরে রাস্তার ধারে বসেছে দুর্গামূর্তিও। ২০২২ সালে পূর্বাচল শক্তি সংঘের দেবী দুর্গার প্রতিমাকে এখানে সংরক্ষিত করা হল।

এখন ফুটপাতে নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে নতুন স্টলগুলি বসেছে। ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরিজিৎ দাস ঠাকুর এই প্রসঙ্গে জানান, ‘ আগের থেকে ও সৌন্দর্য বেড়েছে। এখন ওখানে ব্যবসাও করা যাবে। আবার পথচলতি মানুষেরা বিশ্রাম ও নেবেন। নিয়ম মেনে ফুটপাতে নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে নতুন স্টল চলবে।’ সঙ্গে অরিজিতের সংযোজন, একটি বহুজাতিক সংস্থার কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ফান্ডের টাকায় এই হকার স্টল বানানো হল। দোকানগুলিতে ওই সংস্থার বিজ্ঞাপন থাকবে। এর পাশাপাশি এও জানান, হকার ব্যবসায়ীদের থেকে কোনও টাকাও নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ওই মোড়ে জঞ্জাল সাফ করে নতুন গাছ বসানো হয়েছে। তৈরি হয়েছে বসার জায়গা এবং রাতের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জারও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =