রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি। কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে তা জানতে চেয়ে অনেক আগেই খাদ্য দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে। অবশেষে সেই চিঠির উত্তর দিল রাজ্য খাদ্য দফতর। সূত্রে খবর, বাতিল রেশন কার্ডের তথ্য ইডির অফিসে পাঠানে হয়েছে খাদ্য দফতরের তরফ থেকে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এই ঘটনায় খাদ্য দফতরে তিনবার নোটিস পাঠানো হয়েছিল ইডির তরফ থেকে। অবশেষে সিজিও কমপ্লেক্সে গেল নথি। সূত্রে খবর, এক হাজার পাতার নথি পাঠানো হয়েছে খাদ্য দফতরের তরফে। ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যে কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে সেই তথ্য চেয়েছিল ইডি। বাতিল রেশন কার্ডের মাধ্যমে কত কোটির দুর্নীতি হয়েছে জানতে চায় গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমানদের। গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানতে চাইছেন ভুয়ো কার্ডের মাধ্যমে কত দুর্নীতি হয়েছে। এরপরই ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে তা জানতে চান গোয়েন্দারা। ইডি বুঝতে চাইছে বায়োমেট্রিক কার্ড চালু হওয়ার পর কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। অভিযোগ আসছিল, বায়োমেট্রি শুরু হওয়ার পরও ভুয়ো রেশনকার্ড দিয়ে সামগ্রী তোলা হত। আর সেই মাল তুলে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হত। এই ভাবেই নাকি কোটি কোটি টাকা আয় করতেন রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত অভিযুক্তরা।