কেয়া দাস
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে খাদ্য দ্রব্য প্যাকেজিং,সংরক্ষণ এবং পরিবেশনের জন্য খবরের কাগজকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।পুরনো খবরের কাগজে বিভিন্ন সময়ে গরম গরম তেলেভাজা হোক কিংবা ঝালমুড়ি শসা খবরের কাগজের উপর কেটে বিটনুন ছড়িয়ে পরিবেশন করা হয়। এবার এর উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন পদক্ষেপ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, খবরের কাগজ থেকে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই কারণেই ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া খাদ্য বিক্রেতাদের এই অভ্যাস যত দ্রুত সম্ভব বদলের জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
এরই পাশাপাশি এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড রেগুলেশন ২০১৮ অনুযায়ী, খবরের কাগজে খাদ্য পরিবেশন,খাদ্যদ্রব্য রাখা কিংবা মুড়ে রাখা নিষিদ্ধ।এছাড়াও ভাজা খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল শোষণ করার জন্য কোনোভাবেই খবরের কাগজকে ব্যবহার করা যাবে না।
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এসএফআই সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার এই প্রসঙ্গে জানান,’ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের জোর দিয়ে বলা হচ্ছে খবরের কাগজে খাবার বিক্রি করা এবং কেনা বন্ধ করুন।এতে খাবার জমিয়ে রাখাও বন্ধ করতে হবে।
এই একই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার জি কমলা বর্ধন রাও। তাঁর বক্তব্য, স্বাস্থ্যগত সমস্যার জন্য খবরের কাগজে খাদ্যদ্রব্য পরিবেশন বা খাবার প্যাকেজিংয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়। খবরের কাগজে যে কালি ব্যাবহার করা হয় তাতে বিভিন্ন বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান থাকে। যা থেকে খাদ্যদ্রব্য দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলি শরীরের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। ভবিষ্যতে যারফল হতে পারে ভয়ানক। এর আগেও বিজ্ঞানীরাও জানিয়েছিলেন, খবরের কাগজের কালিতে থাকা বিপজ্জনক উপাদানগুলির কথা। এ থেকে ক্যানসারও হতে পারে। কাগজে থাকা রাসায়নিক পেটে গেলে হজমজনিত সমস্যাও হতে পারে। এবার সরকারি সংস্থাও এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করল।