যাদবপুরের কার্যকরী উপাচার্যকে যে ভাবে সরানো হয়েছিল ঠিক একইভাবে সরিয়ে দেওয়া হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী উপাচার্য রজত কিশোর দে-কেও। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সমাবর্তনের আগের সন্ধ্যায় সরানো হয়েছিল বুদ্ধদেব সাউকে। এবার সেই ছবি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও। অর্থাৎ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের পর আরেকজন উপাচার্যর চাকরি গেল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন কনভেনশন করেছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওয়েবকুপার সভাপতি হিসাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এরপরই সোমবার জানা যায় সরানো হয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে উপাচার্যহীন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক গড়ায় আদালতের দরজা পর্যন্ত। এই উপাচার্যদের প্রথম থেকেই মান্যতা দিতে নারাজ ছিল শিক্ষা দফতর। পাল্টা আচার্যও দাবি করেছিলেন, নিয়ম মেনেই এই নিয়োগ। দু’মাস উপাচার্যহীন থাকার পর গত বছরের অগাস্টে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রজতকিশোর দে-কে কার্যকরী উপাচার্যের দায়িত্ব দেন সিভি আনন্দ বোস। ওয়েবকুপার কনভেনশনের পরই ৯ মাসের মাথায় সেই আচার্যই পদ থেকে সরিয়ে দিলেন রজতকিশোর দে-কে।