বৃহস্পতিবারই কালিম্পংয়ে দাঁড়িয়ে সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন ‘আমি গ্রাউন্ড জিরো’র রাজ্যপাল হতে চাই। এবার তা যেন বাস্তব করে দেখালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বর্তমানে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ সফরে। এবার সেখান থেকেই শুরু ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন’। এদিন কালিম্পং থেকে কোচবিহারের দিকে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময়ই রাজভবনের অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি সন্দীপ সিংয়ের কাছে একটি ফোন আসে। কোনও এক জনৈক ব্যক্তি ফোনে জানান, তাঁকে মারধর করা হচ্ছে। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। তাঁর কথা শুনে সন্দীপবাবু জানতে চান কারা মারছে? ওই ব্যক্তির উত্তর শোনা মাত্রই ফোনটা দিয়ে দেন রাজ্যপালকে।
ফোনেই ওই ব্যক্তির যাবতীয় অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল। তাঁকে অভয়ও দেন। এরপরই ফের সন্দীপবাবুকে নির্দেশ দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফোন করতে। মুহূর্তেই ফোন যায় নির্বাচন কমিশনে। ফোনটা কানে নিয়েই রাজ্যপাল বলেন, ‘প্রার্থীদের রাস্তায় ফেলে মারধর করা হচ্ছে। দ্রুত অ্যাকশন নিন।’
তবে এই ঘটনা নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা চলছে নানা মহলে। প্রসঙ্গত, ভোটমুখী বাংলায় লাগাতার অশান্তি-হিংসার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা ভাঙড়ের মাটিতেও পা রাখেন। এরপর হিংসা রুখতে রাজভবনে খোলা হয় ‘পিস রুম’। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত পদক্ষেপও করছে রাজভবন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার ফোন এসে গিয়েছে রাজভবনে। অনেকে আবার রাজভবনে এসেও সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন। এরইমধ্যে শুক্রবারের এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে শুরু বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হল শোরগোল।
এদিকে পিস রুম খোলা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।