গত কয়েক মাসে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে একাধিকবার। কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, কখনও চোর, কখনও আবার সামান্য বচসাতেও পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠছে। এমনকি সম্প্রতি নিজের সন্তানকেই কোলে নিয়ে ট্রেনে যাওয়ার পথেও ‘চোর’ সন্দেহে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কখনও আক্রান্ত হচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, কখনও পাড়ার ছেলেই। গত সপ্তাহেই তিন দিনের মধ্যে পাঁচ জনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে।
প্রশ্ন উঠছে, গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়েও। এই প্রেক্ষিতে গণপিটুনি নিয়ে পাঁচ বছরের পুরনো একটি বিল আবার নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, গণপিটুনিতে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এখনও সই করেননি। পাঁচ বছর ধরে পড়ে রয়েছে সেই বিল। তাই এখনও পর্যন্ত সেই বিল আইনে পরিণত করা সম্ভব হয়নি।
এই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে প্রশ্নোত্তর আকারে এর জবাব দেন। রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ৩০ অগাস্ট রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয় ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং) বিল’। ৪ সেপ্টেম্বর অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকার সেটি রাজভবনে পাঠিয়েছিল। এদিকে এই বিলের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গে তিনি ব্যাখ্যাও চান রাজ্য সরকারের কাছে। তবে সেই ব্যাখ্যা এখনও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মেলেনি। রাজ্যপালের বক্তব্য, ’২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে সেই ব্যাখ্যা বকেয়া পড়ে রয়েছে।’ রাজ্যপাল তৎকালীন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী পক্ষ কংগ্রেস এবং বামেরা বিলের কিছু বিষয় সংশোধনের দাবি তুলেছিলেন বলেও জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিলের খসড়ায় সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের কথা ছিল না। কিন্তু বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে তা ছিল।’