সম্পূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া উচিত কি না তা নিয়ে এবার বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর এই ইস্যুতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দশ দফা প্রশ্নও পাঠালেন তিনি।এককথায় বড় পদক্ষেপ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তরফ থেকে।
সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের রিপোর্ট চান রাজ্যপাল। মোট ১০ দফা প্রশ্ন এবং পরামর্শ লিখে পাঠান নির্বাচন কমিশনারের কাছে। তাতে তিনি প্রথমেই জানিয়েছেন, অনেকেই আমার কাছে জানিয়েছে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি বাতিল করা উচিত এবং কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতেই নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত। এই বিষয়ে কমিশনারের মত কি তা জানতে চান রাজ্যপাল। সঙ্গে এও জানতে চান, ১০ তারিখ রাজ্যজুড়ে ৪৫০০টি সেনসিটিভ বুথেই পুনর্নির্বাচন হবার প্রয়োজন ছিল শুধুমাত্র ৬৯৭ টি বুথে মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত ছিল না কি না তা নিয়েও। সঙ্গে এও জানতে চান, নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে রুটমার্চ এবং প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট প্রয়োজন রয়েছে কি না সে ব্যাপারেও। এছাড়াও রাজ্যপাল এও জানান, রাজ্য প্রশাসনকে এলার্ট করতে হবে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে। এরপর যে প্রশ্নটা খুব স্বাভাবিক ভাবে সামনে এসেছে তা হল, রাজভবনের তরফে যে ২ হাজারের মতো অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি পদক্ষেপ নিল কমিশন? কারণ, এই অভিযোগ জানতেই রাজভবনে খোলা হয় ‘পিসরুম’। একইসঙ্গে এও জিজ্ঞাসা করা হয়, অনেক কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের আবহেই তিনি দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেন। তারপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এহেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন বঙ্গের রাজনীতিবিদরা।