নিজের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হল ট্র্যাফিক সার্জেন্ট সৌরভ দত্তের ঝুলন্ত দেহ। বছর ৩৯-এর এই সার্জেন্টের এই অস্বাভাবিক ম়ত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য কাশীপুরের বিটি লাইনে।মৃত্যুর আগে সার্জেন্ট সৌরভ দত্ত তাঁর ফেসবুকে যে পোস্ট করেছিলেন তাতে লেখেন, ‘হাসতে ভুলে গিয়েছি মানে এই ভেবো না আমি হেরে গিয়েছি। আসলে আমাদের এই জীবন যুদ্ধের খেলায় শেষ হাসিটা হাসব বলে অপেক্ষায় আছি। হয়তো লাস্ট পোস্ট, একটু বিশ্রাম নেব। সবাই ভাল থেকো।’ এরপরে আর কোনও পোস্ট নেই ফেসবুকে। স্থানীয় সূত্রের খবর, কাজের চাপের কারণে স্ত্রী-সন্তানকে সময় দিতে পারছিলেন না ওই পুলিশ কর্মী। সে কারণেই বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনাও নাকি হচ্ছিল না ওই ট্র্যাফিক সার্জেন্টের। কিছুদিন আগে সন্তানকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান বলেও খবর। তারপর থেকেই ওই পুলিশ কর্মী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সে কারণেই তিনি এই কাণ্ড করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে শেষ পোস্টের আগেও তাঁর ফেসবুকে ঘুরলে আরও বেশ কিছু পোস্ট নজরে আসছে যাতে অবসাদের বিষয়টিই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মত মৃত সৌরভের বন্ধু-বান্ধবদের। একটি পোস্টে খানিক কবিতার আকারেই লিখেছেন, ‘চলে যাব জীবনের সব মায়া ছেড়ে, কথারা রবে না আর কোনও কথার পাতায়, নতুন কোনও প্রশ্নের ভাজে ভাজে, ভাল আছি বলে মিথ্যা বলতে আসব না আর ভাল রাখার কোনও অভিপ্রায়ে। সোনাই চলে যাব, চলে যাব অসমাপ্ত গল্পের ঘোরে।’ সৌরভ ২০১০ সালের কলকাতা পুলিশ ব্যাচের অফিসার বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতা পুলিশের ইস্ট ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট ছিলেন তিনি।