ফের পিছিয়ে গেল মহার্ঘভাতা অর্থাৎ ডিএ নিয়ে মামলার শুনানি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু এদিনও সেই মামলা স্থগিত হয়ে যায়। কবে পরবর্তী শুনানি হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। এদিন আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি এদিন ফের উল্লেখ করেন, এর আগের শুনানিতে জানানো হয়েছিল, এবার চূড়ান্ত শুনানি হবে। তা সত্ত্বেও মামলা ‘মিসলেনিয়াস ডে’-তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা দিনের পর দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। কলকাতায় শহিদ মিনারে একের পর এক সরকারি কর্মীদের সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কলকাতার রাজপথ থেকে রাজধানী দিল্লিতে পর্যন্ত ধরনায় বসেছেন তাঁরা। তবে রাজ্য সরকার বারবারই স্পষ্ট করেছে, কেন্দ্র যে হারে তাদের কর্মচারিদের ডিএ দেয়, সেই ডিএ দিতে হবে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদেরও। তবে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের দাবি অনুযায়ী, ৩ লক্ষের বেশি কর্মচারিকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হলে ৪১ হাজার কোটি টাকার প্রভাব কোষাগারের উপর পড়বে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিএ সংক্রান্ত নিজস্ব নিয়ম আছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারি সংগঠন একটি পিটিশন দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টে। তবে ইতিমধ্যে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই যতটা দেওয়ার তা দেবে। কেন্দ্রের হারে কোনওভাবেই রাজ্যের পক্ষে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আন্দোলনকারীরাও অনড় তাঁদের দাবিতে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলার রায়ের ক্ষেত্রে সবদিক বিচার বিবেচনার করার বিষয় রয়েছে। কারণ, দেশের সমস্ত রাজ্যে কেন্দ্রের হারে ডিএ দেওয়া হয়, এমন নয়। ফলে এই রাজ্যের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট যদি সে নির্দেশ দেয়, তাহলে ডিএ নিয়ে সমস্যা আরও জটিল হবে। আরও এ সংক্রান্ত মামলা হতে পারে। সুপ্রিম-রায়ের সমতা যাতে সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই মান্যতা পায়, তা নিয়ে সরব হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওযা যাচ্ছে না।