সন্দেশখালি ইস্য়ুর আঁচ পৌঁছাচ্ছে জেএনইউ-তেও

রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় রাজনীতিতে পৌঁছেছে সন্দেশখালির আঁচ। সম্প্রতি বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনেও আলোচনা হয়েছে এই ইস্যুতে। এবার সেই ইস্যু পৌঁছল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। সন্দেশখালিতে কী কী ঘটছে, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের কোন ছবি উঠে এসেছে তা নিয়ে ছাত্র ও অধ্যাপকদের সমাজকে অবহিত করতে উদ্যোগী বিজেপি। আর সেই কারণেই শনিবার সন্ধ্যায় এবিভিপি-র তরফ থেকে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসেই হবে এই সেমিনার। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। অনুষ্ঠানের শিরোনাম, ‘শ্যাটারিং সাইলেন্স, আনভেইলিং দ্য রিয়্যালিটি অব পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স আগেনস্ট উইমেন ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল।’ এদিকে বঙ্গ বিজেপি শিবির সূত্রে খবর, শনিবার সকালে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি রওনা হয়েছেন সুকান্ত ও শুভেন্দু। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে শাসক দলকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, কাউকে ধরার জন্য নয়, ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘ধরবে না, ও ভোট করে, আর টাকা সাপ্লাই করে।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, পুলিশ সন্দেশখালিতে প্রশাসনের হয়ে নয়, দলের হয়ে কাজ করছেন। এই প্রসঙ্গে সন্দেশখালির সঙ্গে নন্দীগ্রামের তুলনাও করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, নন্দীগ্রামে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আর এখানে নারীদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ সংগ্রাম করছে। জমি দখলটাও এখানে একটা বড় ইস্যু। সন্দেশখালিতে সবাই বিজেপিকে ভরসা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে জেএনইউ-এর অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান,  ‘ছাত্রদের সামনে বক্তব্য রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি থেকে বাংলা কীভাবে বেরিয়ে আসতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। কী অবস্থায় মহিলারা মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে, সেগুলোও বলা হবে।’ সন্দেশখালির গোটা ছবিটা তুলে ধরা হবে বলে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, তাঁদের কিছু দলীয় কর্মসূচিও রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে সন্দেশখালি ইস্যুকে সামনে রেখে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সন্দেশখালিতে ঢুকতে গিয়ে বারবার বাধা পেয়েছেন সুকান্ত ও শুভেন্দু। হাইকোর্টে গিয়ে অনুমতি নিয়ে যেতে হয়েছে শুভেন্দুকে।

এদিকে, শাহজাহান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫০ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও সন্দেশখালির পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। সন্দেশখালি, জেলিয়াখালির পর এবার উত্তপ্ত হয়েছে বেড়মজুর। শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমেছেন এলাকার মহিলারা। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ভেড়ির আলাঘরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =