তিন সপ্তাহের জন্য সৌমেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট

আগামী তিন সপ্তাহের জন্য সৌমেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে, এমনই এক আতঙ্ক থেকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাঁথি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। এর আগে সৌমেন্দু অধিকার- সহ অন্য অভিযুক্তদের ১৫ জুন পর্যন্ত রক্ষাকবচের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। আদালতের নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যে তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নোটিস দিয়ে ডাকতে পারবে পুলিশ। তবে দিনে দু’ঘণ্টা ও মোট দু’দিনের বেশি একজনকে ডাকা যাবে না বলেও স্পষ্ট করে দেয় আদালত।

এদিনের মামলার শুনানিতে রাজ্যকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আবেদনকারীরা বলছেন ৯টা মামলা তাঁদের বিরুদ্ধে আছে, আর রাজ্য কী করে বলছে ৫টা?’ একটা মামলা খারিজ করেছে আদালত। এরপরই মামলকারীদের একজনের আইনজীবীর বক্তব্য,  ‘এতদিন কোনও অভিযোগ ছিল না। যেই তিনি দলবদল করলেন, তখনই তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা শুরু হল।’ আগামী দিনে এই ভাবে নতুন মামলা করে হেনস্থার আশঙ্কা করছেন তিনি। বিচারপতি তখন তাঁকে বলেন, ‘এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে নতুন মামলা করতে পারেন।’ তবে এক্ষেত্রে সৌমেন্দু অধিকারী এই মামলায় আলাদা করে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। বিচারপতি তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। কারণ,বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যে সুযোগ পাওয়ার কথা, সেটা সবার সঙ্গে তাঁকেও দেওয়া হয়েছে। তাই এখানে আলাদা মামলা করার কোনও প্রয়োজন নেই। এদিকে পুরসভার মেয়াদ শেষের পর প্রশাসকের দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন সৌমেন্দু। একুশের নির্বাচনের আগে তাঁর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। কাঁথির রাঙামাটি শ্মশান উন্নয়নে টাকা নয়ছয়, শ্মশান চত্বরে স্টল তৈরি করে বেআইনিভাবে বিক্রি করা, টেন্ডার দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এই বছরের শুরুতেই একাধিকবার পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয় সৌমেন্দুকে। মোট ৬ বার কাঁথি থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। সৌমেন্দুর অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তদন্তের নামে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু। সেই মামলায় আবারও স্বস্তি পেলেন সৌমেন্দু।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 1 =