১১ বছর আগে এক ১৬ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল মধ্যমগ্রামে। ঘটনার পর ওই বছরেই পুড়ে মৃত্যু হয় কিশোরীর। সেই ঘটনায় বারাসত কোর্ট আগেই সাজা ঘোষণা করেছিল। পরে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এবার এই ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনায় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই সাজাই বহাল রাখা হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। এদিন সেই মামলায় রায়দান করে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায়, পাঁচ অভিযুক্তের নাম সঞ্জীব তালুকদার, পলাশ দেবনাথ, রাজেশ মন্ডল, রাজীব বিশ্বাস ও পাপাই রায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে, মধ্যমগ্রামে বিহারের বাসিন্দা এক ট্যাক্সি চালকের নাবালিকা কন্যাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে তিন অভিযুক্তের ডিএনএ-ও মেলে। এরপরই আদালতে জানানো হয়, তিন অভিযুক্তের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে নির্যাতিতার দেহে। সেই সময় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একজন রাজসাক্ষী হন। বেকসুর খালাস হলেও বাকি পাঁচজনের সাজা ঘোষণা করে বারাসাত কোর্ট। এর ঠিক এক বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বারাসাত আদালত ২০ বছরের সাজা ঘোষণা করে। ৫ অভিযুক্তের সাজা ঘোষণার পর ২০১৪ সালেই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন সাজাপ্রাপ্ত অভিযুক্তরা।