সোমবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই কেউই। এদিকে বড় সমস্যা হল এই পদ এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে একদিনও যদি এই পদে কেউ না থাকেন তাহলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কাজ আটকে যায়। এই অভিযোগ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অর্থাৎ জুটা জটিলতা তৈরির অভিযোগ এনেছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে।
বুধবার ‘জুটা’-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এই প্রসঙ্গে জানান,’বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারের মেয়াদ গত ১৩ জুন শেষ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই এই সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে আগাম জানানোও হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা দপ্তর ইচ্ছাকৃতভাবে ফিনান্স অফিসার নিয়ে জটিলতা তৈরি করে রেখেছে। এর জেরে এখনও পর্যন্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এবং অর্থ প্রদান আটকে গেছে। বেশ কিছু ‘স্ট্যাটুটরি পেমেন্ট’ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। এর আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার পদের মেয়াদও শেষ হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর মেয়াদ শেষের আগেই সেই পদে যিনি ছিলেন তাঁর মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। তবে ফিনান্স অফিসারের ক্ষেত্রে ইচ্ছে করে জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ফিনান্স অফিসার নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব তহবিলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়।’এরই রেশ ধরে পার্থপ্রতিম রায় এও জানান, ‘এখন উচ্চ শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কেউ ফিনান্স অফিসারের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া আটকে দিয়ে জটিলতা তৈরি করছেন। আসলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিকভাবে দুর্বল করার চক্রান্ত অনেক আগেই শুরু হয়েছে ফিনান্স অফিসার নিয়ে জটিলতা তৈরি করা তারই অংশ। এর ফলে ছাত্র, গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী থেকে আধিকারিক সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সব থেকে বড় কথা হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো আর্থিক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার মুখে। আমরা উচ্চ শিক্ষা দফতরে ইচ্ছাকৃতভাবে এই জটিলতা তৈরির তীব্র প্রতিবাদ করছি। যদি এই সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আগামী সোমবার থেকে এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে যাবো।’