সামনে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হস্টেল বাপ’ তত্ত্ব

যত সময় গড়াচ্ছে তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। এবার সামনে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের কিছু অলিখিত নিয়মের কথা। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে স্বপ্নদীপের ‘হস্টেল বাপ’ ছিল ধৃত মনোতোষ ঘোষ। হস্টেলে নতুন কেউ আসলে তাঁকে একটা ‘হস্টেল বাপ’ বনাতে হয়। সূত্রের খবর, সিনিয়রাই মনোতোষকে ‘হস্টেল বাপ’ বানিয়েছিল। আর ‘হস্টেল বাপের’ রাজনৈতিক পরিচয়ই ওই পড়ুয়ার রাজনৈতিক পরিচয় হয় ভবিষ্যতে। এদিকে মনোতোষ ঘোষ ছিলেন ফোরাম ফর আর্টস-এর সক্রিয় কর্মী।

এখন কথা হল এই ‘হস্টেল বাপ’ কী? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেল সহ অন্যান্য হস্টেলের অলিখিত নিয়ম রয়েছে যখন কোনও পড়ুয়া হস্টেলের আবাসিক হতে চাইবে তখন তাঁকে তাঁর ‘বাপ’ খুঁজে নিতে হবে। আর এই বিষয়টাকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের ভাষায় বলা হয় ‘হস্টেল বাপ’। এই ‘হস্টেল বাপ’ ঠিক করার ক্ষেত্রে দায়িত্ব নেন সিনিয়ররা। স্বপ্নদীপের ক্ষেত্রে ‘হস্টেল বাপ’ ঠিক হয়েছিল মনোতোষকে। জানা যাচ্ছে, তাঁরই তত্ত্বাবধানে থাকতে হত মৃত পড়ুয়াকে। ২৪ ঘণ্টা কার্যত মনোতোষের নজরদারি ও তাঁর সমস্ত দাবি-দাওয়া মেনে নিতে হবে মৃত পড়ুয়াকে।

এই প্রসঙ্গে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, ‘আমরা প্রথম থেকেই দাবি করেছি প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য হস্টেল আর দ্বিতীয় দাবি ছিল যাঁরা প্রাক্তন ছাত্র তাঁদেরকে বের করার। আমাদের কাছে খবর আছে ওই হস্টেলে ফের সিনিয়ররা মিটিং করেছে। আর এই একই জিনিস চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সব জানে। সেদিন রাত্রে কারা উপস্থিত ছিল।তবুও কেন তাঁদের ধরছে না?’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 8 =