কোভিড আবহে লকডাউনের সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখন ফিকে হয়নি মানুষের মন থেকে। এদিকে সূত্রে খবর মিলছে, ফের নব রূপে মাথা চাড়া দিচ্ছে কোভিড। প্রতিবারই ভ্যারিয়ান্ট বদলে, নয়া নাম নিয়ে হানা দেয় কোভিড। এবার ভ্যারিয়ান্টটির নাম পিরোলা। ওমিক্রনেরই ই-সাব ভ্যারিয়ান্ট।
সিঙ্গাপুর-হংকংয়ে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে। আর এই ঘটনায় ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারতীয়রাও। কারণ, ভারতের একাধিক শহরে নতুন করে ছড়িয়েছে এই সংক্রমণ। শুধু তাই নয়, কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখীও।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের এই সাব ভ্যারিয়ান্ট শরীরের থাবা বসালে ঠাণ্ডা লাগা, গলা ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চোখের যন্ত্রণা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া, পেশীতে ব্যথার মতো উপসর্গও নজরে পড়েছে এবার। এর পাশাপাশি চিকিৎসকেরা এও জানান, প্রবীণ নাগরিক,গর্ভবতী ও কোমোর্বিড রোগীদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। ফলে জনবহুল জায়গায় গেলে তাদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপরও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জেএনওয়ান কোভিড-১৯এর ৩০ বার মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এই ভ্যারিয়ান্ট সংক্রামক বেশি এবং সহজেই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
এদিকে তথ্য় বলছে,দেশের মধ্যে ফের সবচেয়ে বেশি করোনার এই নয়া ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়েছে কেরলে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবলা করার জন্য় ব়্যাপিড রেসপন্স টিমকে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে সামান্যতম উপসর্গও চোখে পড়ছে তাদের টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিকেও আরটি-পিসিআর কিট ও অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রাখতে বলা হয়েছে। কেরলের কোট্টায়াম জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭, এরনাকুলামে ৩৪ এবং তিরুবনন্তপুরমে ৩০।
কেরলের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হদিশ তামিলনাড়ুতে। সেখানে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬৬। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ জন। এরপর তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে কর্নাটক: ১৬, গুজরাত : ১৫, পুদুচেরি: ১২, দিল্লি: ৫, হরিয়ানা: ৪, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং সিকিমে আক্রান্ত ১ জন করে। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির জায়গায় রয়েছে বাংলা।