গত ২৫ জুন বিকেলের পর থেকে ঠিক কী কী ঘটেছিল তার বর্ণনা পুলিশের কাছে দিয়েচেন নির্যাতিতা। আর নির্যাতিতার সেই বয়ানের সঙ্গে মিলে গেছে সাত ঘণ্টার পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজও৷ এই প্রসঙ্গে বলতেই হয়, নিজের বয়ানে নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন, ওই দিন প্রথম জবরদস্তির সময় প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর৷ সেই সময় মূল অভিযুক্ত মনোজিতের নির্দেশে নির্দেশে তাঁকে ওষুধের দোকান থেকে ইন হেলারও কিনে এনে দেওয়া হয়েছিল৷ সোমবার সেই তথ্য খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে তদন্তকারীদের নজরে আসে জায়েবের গতিবিধি। যা তদন্তকাকরীদের কাছে এক অকাট্য প্রমাণ৷
প্রসঙ্গত, নিজের অভিযোগ পত্রে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন যখন তিনি শেষমেশ ইউনিয়ন রুম থেকে বেরতে যাচ্ছিলেন, তখন মনোজিতের ইশারায় তাঁকে ও মনোজিৎকে ইউনিয়ন রুমে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় জায়েব ও প্রমিত। এরপর ইউনিয়ন রুমের ভিতরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে জোর করে শরীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ। গায়ের জোরে তাকে আটকাতে থাকেন নির্যাতিতা৷ সঙ্গে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করেছিলেন। এই সময় তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দরজা খুলে জাইব ও প্রমিতকে ডাকেন মনোজিৎ৷ তখনই নির্যাতিতার জন্য ওষুধের দোকানে ইনহেলার আনতে যায় জাইব৷
কসবার ধর্ষণের ঘটনার দিন এক যুবক যে মেডিসিনের দোকানে এসে ইনহেলার নিয়েছিল পুলিশ এসে এই দোকান থেকেও ফুটেজ সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে বলে সূত্রে খবর। এমনকী যে বিল হয়েছিল সেই কপিও নিয়ে গিয়েছেন তারা। ফুটেজ এবং তথ্য বলছে, জাইব আহমেদ ২৫ জুন বিকালের পরে এই ওষুধের দোকানে গিয়েছিল৷ দোকানে ঢোকার আগে বেশ কয়েকবার সে বাইরে ঘোরাঘুরিও করে৷ তারপরে ভিতরে ঢুকে একটি ইনহেলার কিনে দ্রুত গতিতে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়৷ পুলিশের হাতে এসেছে এই সব ঘটটনার ফুটেজ।