যোগ্য অযোগ্য বাছাই করে যোগ্যদের হয় চাকরি ফিরিয়ে দিন, না হলে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন, এই দাবিকে সামনে রেখে বাঁকুড়ায় বিক্ষোভে সামিল হন সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার কৃষক বাজারে জমায়েত করেন চাকরিহারারা।সঙ্গে তাঁর দাবি করেন, এই পরিস্থিতিতে যোগ্য অযোগ্য বাছাই করে যোগ্যদের সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক নতুবা তাঁদের সকলকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক, এই দাবি তুলেই চলল মিছিল।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে বহাল রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়। দুর্নীতির দায়ে বাতিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি। আর এই চাকরি বাতিল হতেই হাহাকার নাগরিক মহলে। তপ্ত রাজনীতির আঙিনা। দোষ কার, কে যোগ্য, কে অযোগ্য, তা নিয়েও চাপানউতোরের অন্ত নেই।বাঁকুড়া জেলায় সব মিলিয়ে বাতিল হওয়া চাকরির সংখ্যা এক হাজারের উপর। চাকরিহারারা তো বটেই, সুপ্রিম রায়ের পর থেকে চরম হতাশায় পরিবারের সদস্যরা।
আর এই হতাশা আরও চেপে ধরছে যখন তাঁদের চাকরি চুরির অপবাদ দিচ্ছেন পাড়ায় পরিচিতরাই। ফলে গ্রামে, শহরে পরিচিতদের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না। আর এখানেই তাঁদের অভিযোগ, যোগ্য হিসাবে চাকরি পেয়েও এখন শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের গাফিলাতির কারণে তাঁদের চাকরিহারা হতে হয়েছে। এর পাশাপাশি চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি অনেকেই।
এমনই এক প্রেক্ষিতে সরকারের উদ্দেশ্যেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। সাফ কথা, তাঁদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবার বন্ধ হোক। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ১ বৈশাখের ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারারা। ইতিমধ্যেই ১২ থেকে ১৩ মঞ্চ একজোট হয়ে ১ বৈশাখের মধ্যে বাস্তবচিত উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলছেন। আর সমস্যা সমাধান না হলে একজোট হয়ে নবান্ন অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।