‘তাড়াহুড়ো করে শুনানি করা হয়েছে, বিচারপতিকেই জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে’, প্রাথমিক ৩২০০০ চাকরি বাতিল মামলায় একক বেঞ্চের শুনানির ক্ষেত্রে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করতে শোনা গেল রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে। এর পাশাপাশি এজি এও জানান, ‘১৬৫ ধারা,এভিডেন্স অ্যাক্ট, ট্রায়ালের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আনার জন্য আদালত এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে। তিনি প্রসিকিউটরের মতো কাজ করেছিলেন। ৬. ২. ২০২৩ অর্ডারে দেখুন, আদালত সাক্ষীদের নির্বাচন করেছে। আদালত নিরপরাধদের রক্ষা করে। বিচারপতি প্রসিকিউটরের কাজ করে না। উনি বিচারপতির ভূমিকা বদল করেছেন।’
এজি কিশোর দত্তের শুক্রবার আদালতে সওয়াল করেত গিয়ে বলেন, ‘একক বেঞ্চের শুনানির ক্ষেত্রে অনেক তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। শুনানির শেষের পরের দিনই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ বার শুনানি হয়েছিল। বোর্ডকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়নি। আর সেই কারণেই বিচারপতিকেই জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।’
শুক্রবার অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করতে গিয়ে এও জানান,‘এভিডেন্স অ্যাক্টের সেকশন ১৬৫ মানা হয়নি। গোটা রায় দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ধারণার ভিত্তিতে। আর তার ফলে নিয়ম এড়িয়ে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে কনসিকোয়েন্স গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে দুর্নীতিও প্রমাণ করা যায়নি।’