জোর করলেও যে সব খাবার দেবেন না বাচ্চাদের লাঞ্চবক্সে

বাবা-মায়েরা সবসময়ই তাঁদের বাচ্চাদের শরীরে পুষ্টির জোগান নিয়ে চিন্তিত থাকেন। আবার অনেকে চিন্তিত নিজের সন্তানের ওজন নিয়েও। কিন্তু বাচ্চার আবদার রাখতে গিয়ে বাধ্য হয়েই তাদের পছন্দের জিনিসগুলো টিফিনে দিতে হয় যাতে বাচ্চারা লাঞ্চের সময় সব খেতে পারে। আবার অনেক সময় শিশুরা এমন কিছু খাবারের জন্য বায়না করে যা অস্বাস্থ‍্যকর। সুতরাং লাঞ্চ বক্সে কী কী দেওয়া উচিত নয় তা এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক।

নুডলস- বেশিরভাগ বাচ্চাই নুডলস খেতে পছন্দ করে। ফলে অনেকেই শিশুর বায়না মেটাতে নুডলস দেন। বাচ্চাদের এই ধরনের চটজলদি খাবার না খাওয়ানোই ভাল। নুডলসের প্রধান উপকরণ হল ময়দা। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল না। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও ময়দা এড়িয়ে চলা ভাল। বেশিরভাগ নুডলসে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজিও থাকে। যা সাধারণ খাদ্য সংযোজন প্রক্রিয়াজাত খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নুডুলস হার্ট ও কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।

অবশিষ্ট খাবার- অনেক সময়, বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের লাঞ্চবক্সে আগের দিনের লাঞ্চ বা ডিনারের অবশিষ্টাংশ প্যাক করে রাখেন। কিন্তু অনেনকেই মাথায় রাখেন না যে, গরমকালে বাচ্চারা তাদের দুপুরের খাবার খেতে শুরু করে তখন খাবারের স্বাদ এবং পুষ্টির মান মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়। শুধু তাই নয়, খাবারটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটি খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণও হতে পারে। শিশু ভালবাসে বলে বাসি খাবার কখনওই টিফিনে দেবেন না। ছোটদের হজমক্ষমতা কম থাকে। ফলে বাসি খাবার শিশুদের খাওয়ানো ঠিক নয়।

ভাজা খাবার- ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পটেটো চিপস, ফ্রাইড চিকেন বাচ্চাদের লাঞ্চ বক্সে না দেওয়াই ভাল। এই খাবারগুলিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এতে আপনার বাচ্চার ওজন বাড়তে পারে। পেটের জন্যও ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে এগুলোর পরিবর্তে আপনি লাঞ্চ বক্সে গ্রিলড চিকেন বা স্টিমড মোমোর মতো জিনিস দিতে পারেন।

প্রক্রিয়াজাত খাবার- সসেজ, সালামি অনেকের ফ্রিজেই মজুত থাকে। সকালে উঠে বাচ্চাকে কী টিফিন দেবেন তা বুঝতে না পেরে অনেকেই এগুলি ভেজে দিয়ে দেন। তাতে সময় বাঁচলেও রোজ এগুলি খেলে শিশুর শরীরের অবস্থা বেহাল হতে পারে। প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবারই শিশুর জন্য ভাল নয়।

প‍্যাকেট জাতীয় খাবার- আপনার বাচ্চার লাঞ্চ বক্সে খুব বেশি সসেজ, হট ডগ, চিপস, কুকিজ এবং প্যাকেজ করা স্ন্যাকস এড়িয়ে চলা উচিত। আসলে, এই খাবারগুলিতে সোডিয়ামের মাত্রা খুবই বেশি থাকে। পরিবর্তে ঘরে তৈরি খাবার সঙ্গে ফল টিফিনে দেওয়া যেতে পারে।

মিষ্টি খাবার: বাচ্চাদের টিফিন বক্সে মিষ্টি, গুড় ও চিনিযুক্ত খাবার দেবেন না। এগুলোতে অনেক রাসায়নিক প্রিজারভেটিভ থাকে। যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, বিশেষজ্ঞদের মতে একটি স্বাস্থ্যকর টিফিনে থাকা উচিত ফল এবং শাকসবজি, প্রোটিন-প্যাকড স্যান্ডউইচ, পনিরের সঙ্গে সুস্বাদু প্যানকেক এবং ইডলির মতো খাবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − two =