বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়া বাঘাযতীনের চারতলা বহুতলটি ভেঙেই ফেলার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা৷ মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই বহুতল ভাঙার কাজ শুরু হয়৷ ফলে একসঙ্গে মাথার উপরের ছাদ হারাল ওই বহুতলের বাসিন্দা আটটি পরিবার৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরেই আচমকা হেলে পড়ে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির ওই চারতলা বহুতল৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে ওই বহুতলের কাজ শুরু করেন সুভাষ রায় নামে এক প্রোমোটার৷ সুভাষবাবু এই বাঘাযতীনেরই বাসিন্দা। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ কেউ নগদে, কেউ আবার ঋণ নিয়েও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন৷ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাথার উপরের ছাদ হারিয়ে কার্যত দিশেহারা ওই বহুতলের বাসিন্দা আটটি পরিবার৷
বেশ কিছু দিন ধরেই ওই বহুতলটি হেলে পড়তে শুরু করেছিল৷ আবাসিকরা প্রোমোটারকে বিষয়টি জানালে জ্যাক লাগিয়ে বাড়ি ভিত থেকে উঁচু করে সোজা করার জন্য হরিয়ানার একটি সংস্থাকে বরাত দেন সুভাষবাবু৷ কাজ চলছিল বলে বহুতলটি খালি করে আবাসিকদের ভাড়া বাড়িতে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়৷ এ দিন মেরামতির সেই কাজ চলাকালীনই আচমকা বাড়ির একতলা দেওয়াল ভাঙতে শুরু করে৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই বিপজ্জনকভাবে একপাশে হেলে পড়ে গোটা বহুতলটি৷ সেই সময় বহুতলে কেউ না থাকায় কেউ হতাহত হননি৷এখনও ওই বহুতলের ফ্ল্যাটগুলির ভিতরে আবাসিকদের আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রয়েছে৷ কিন্তু বহুতলটির যা অবস্থা, তাতে সেই সমস্ত আসবাবপত্র বের করে আনার সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ একতলা ভেঙে যাওয়ায় বহুতলের দোতলার জানলা দিয়ে ভিতরে ঢুকে ভাঙার কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকরা৷
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, নরম জলা জমির উপরে বহুতলের কাজ শুরু হওয়ার পর অনেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু কোনওরকম পাইলিং না করেই ফ্ল্যাটের ভিত তৈরি হয়৷ সেই কারণেই সম্ভবত বহুতলটির এই পরিণতি হল৷