বিকেল ৫ টার মধ্যে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। তাও আবার ১ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আইনমন্ত্রীকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ পেয়েই আর দেরি করেননি আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তিনি পৌঁছে যান আদালতে। নিম্ন আদালতের বিচারকের বদলির ফাইল কেন আটকে আছে, তা জানতেই আইনমন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে আদালত সূত্রে খবর। এরপরই এজলাসে উপস্থিত হয়ে বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরও দেন মন্ত্রী।
এদিকে আদালত সূত্রে এ খবরও মেলে যে, এদিন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক আদালতে হাজির হতেই বিচারপতি তাঁকে বলেন, ‘ভুল বুঝবেন না। আপনার হাসি মুখ দেখতেই ডেকেছি।’ পাশাপাশি আদালত সূত্রে খবর, এদিন মন্ত্রী উপস্থিত হওয়ার পর বিচারপতি তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আপনার আদালতে আপনাকে ওয়েলকাম। আপনার কাছে অর্পণ চট্টোপাধ্যায় সংক্রান্ত একটি ফাইল পড়ে আছে। ওটা ছেড়ে দিন।’ এ কথা শুনে মলয় ঘটক বলেন, ‘দিল্লি যাচ্ছি। ফিরে এসে ফাইল ছেড়ে দেব।’ দিল্লি যাওয়ার কথা শুনে বিচারপতি এ প্রশ্নও করেন, কে ডেকেছে? ইডি কিনা। উত্তরে মন্ত্রী জানান, ‘একটা রাজনৈতিক কাজেই যাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, বিচারকের বদলির ফাইল আইনমন্ত্রী কাছে অগাস্ট মাস থেকে পড়ে রয়েছে বলে বিচারপতিকে জানিয়েছিলেন জুডিশিয়াল সেক্রেটারি। কেন এতদিন ধরে পড়ে রয়েছে, ফাইল তা জানতেই তলব করা হয়েছিল মন্ত্রীকে। বিচারপতি প্রশ্ন করলে মলয় ঘটক বলেন, ‘আমি অসুস্থ ছিলাম, তাই কাজ বাকি ছিল। ৬ অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করে দিচ্ছি।’
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলি হওয়ার কথা থাকলেও, কেন তা হয়নি সেই প্রশ্নই এদিন তুলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই ৪ অক্টোবরের মধ্যে বদলির নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।