মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড বা এটিএস সম্প্রতি পুনে থেকে দুজনকে গ্রেফতারের পরই উস্কে দিল ২৬/১১-র সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। প্রায় ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ২৬/১১ মুম্বই হামলার স্মৃতি এখনও তরতাজা। ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিশানা করা হয়েছি চাবাদ হাউস নামে মুম্বই-এর ওই বহুতলকে। এবার সেই বহুতলেরই ছবি মিলল এই দুই সন্দেহভাজনের হাতে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে গেল, তবে কি আবারও ওই বাড়িটিকে হামলার নিশানা করার চেষ্টা করছে কেউ? এই ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসার পরই নিরাপত্তা নিয়ে বেড়েছে তৎপরতা। কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বাড়িটিকে ঘিরে।
সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড বা এটিএস সম্প্রতি পুনে থেকে গ্রেফতার করে মহম্মদ ইমরান ইউনুস খান ও মহম্মদ ইয়াকুব সাকি নামে ওই দুই সন্দেহভাজনকে। এরা মধ্যপ্রদেশের রতলামের বাসিন্দা। রাজস্থানে হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। সূত্রে এ খবরও মিলছে যে, ওই দুজনকে জেরা করার সময় তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় এই চাবাদ হাউসের গুগল ইমেজ। একইসঙ্গে এই ধৃত দুজনের বয়ান থেকে পুলিশের অনুমান, তাঁরা দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দেশের সুরক্ষা বিঘ্নিত করা তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করছে মহারাষ্ট্রের এটিএস-এর আধিকারিকেরা। মুম্বই পুলিশের দেওয়া বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজন বোমা তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও কাছে রেখেছিলেন। এমনকী তাঁদের কাছ থেকে একটি তাঁবুও উদ্ধার করেছে এটিএস। পুলিশের অনুমান, জঙ্গলে থাকার সময় কাজে লাগবে বলেই রাখা হয়েছিল ওই তাঁবু। এখানেই শেষ নয়, তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ড্রোন, ল্যাপটপ, কিছু চকচকে সাদা পাউডারের মতো দ্রব্য, ইলেকট্রনিক সার্কিট সহ আরও অনেক কিছু। অর্থাৎ তাঁরা যে বেশ আটঘাট বেঁধেই কাজে নামছিল, তেমনটাই আশঙ্কা করছে পুলিশ। তবে ২০০৮ সালের কথা মাথায় রেখে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পুলিশ। ওই বাড়ির ছবি পাওয়ার পর থেকেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।