২০২২ এ শিবপুরের মন্দিরতলায় টাকার পাহাড়ের সন্ধান পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে উদ্ধারও হয় কয়েক কোটি টাকা। অনলাইনে রহস্যজনকভাবে টাকা লেনদেন করা হত, এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল বলে জানানো হয়। এরপর ফ্ল্যাটে খাটের তলায় মেলে রাশি রাশি টাকা। প্রতারণার মামলায় একে একে গ্রেফতার করা হয় তিন পাণ্ডে ভাই-কে। এক বছর পর সেই মামলায় গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তকে। কারণ, ঘটনার পর থেকে খোঁজ ছিল না অভিযুক্ত বিরাজ পাতিলের। তাঁকেই এবার গ্রেফতার করল ইডি। দুবাই থেকে ভারতে ফিরতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, রবিবার রাতে দুবাই থেকে মুম্বই ফেরেন বিরাজ। মুম্বইতে নামার পর বিমানবন্দর থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারির পরে সোমবার সকালে তাঁকে কলকাতায় আনা হয়। টাকা উদ্ধারের মামলায় পুলিশ জানতে পেরেছিল বিশ্ব জুড়ে একটি লগ্নি সংস্থা চালানো হয়। ‘নাইন এক্স গ্লোবাল’ নামে ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন বিরাজ পাতিল। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ছিল।
এর আগে এই ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল কলকাতা পুলিশ। চার্জশিটে নাম ছিল শৈলেশ পাণ্ডে, অরবিন্দ পাণ্ডে ও রোহিত পাণ্ডের। এই তিনজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাঁদের এক সহযোগী প্রসেনজিৎ দাসকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। চার জনেরই জেল হেফাজত হয়। বাকি ন’জন অভিযুক্তকে পলাতক হিসেবে দেখানো হয়েছিল চার্জশিটে। দুজনের বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা, তার মধ্যে অন্যতম বিরাজ পাতিল। পরে মামলার তদন্তভার নেয় ইডি। এরপর বিরজকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছিল ইডি। অবশেষে ইডির জালেই ধরা পড়ল বিরাজ।