বহুদিন থেকেই ‘পিপলস কোর্ট’ বা ‘জনতার আদালত’ হিসেবে কাজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তাই কোর্টে যেতে নাগরিকরা যাতে ভয় না পান এটাই ‘সংবিধান দিবস’ প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। সংবিধান দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে এমনই বার্তা দিতে দেখা গেল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভেদ মিটিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেয় সংবিধান। আর বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত নীতির মাধ্যমে মতবিরোধ মিটিয়ে নিতে সাহায্য করে। তাই দেশের প্রতিটি আদালতে চলা প্রতিটি মামলা সাংবিধানিক প্রশাসনেরই বর্ধিত অংশ।
একইসঙ্গে এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এও জানান, ‘গত সাত দশকে সুপ্রিম কোর্ট জনতার আদালত হিসেবে কাজ করেছে। হাজার হাজার মানুষ কোর্টের দরজা আসেন ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায়।’ তাঁর মতে, ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে, বেআইনি গ্রেফতারি রুখতে, ক্রীতদাসের অধিকার রক্ষায়, জনজাতিদের জমির অধিকার সুরক্ষিত করতে আদালতের দ্বারস্থ হন নাগরিকরা। তাঁরা সকলে ন্যায়বিচারের আশাতেই আসেন। প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘কেউ যেন কোর্টে যেতে ভয় না পান।আর কোনও উপায় না থাকলে তবেই আদালতে আসবেন, এমনটা যেন না হয়। বরং আমি চাইব, সব শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মানুষ যেন কোর্ট সিস্টেমের উপর ভরসা রাখতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টাই আমাদের করতে হবে।’ তাঁর মতে, আদালতের শুনানির একটানা মিডিয়া রিপোর্টিং কোর্টরুমের কাজকর্মের সঙ্গে জনতার সংযোগ তৈরি করে দেয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃত্বা দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কওল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না-সহ আরও অনেকেই হাজির ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে।