বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দাদের ঘুম চুরি করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই ঘুম ফেরাতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের লড়াই শুরু হয় কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের সঙ্গে। বৈঠক করে হারানো ঘুম ফেরানোর ব্যবস্থা হলেও যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা মনপসন্দ নয় বাসিন্দাদের৷ কারণ ঘুমানোর সময় কেটে- ছেঁটে দাঁড়িয়েছে মাত্র চার ঘণ্টায়।
ঘটনার সূত্রপাত, মেট্রোর নির্মাণকাজ ঘিরে।। মেট্রোর কাজের জন্য জন্য হওয়া আওয়াজ ও কাঁপুনিতে তাঁদের ঘুম হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দুর্গা পিতুরি লেন এবং আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের এই সমস্যার কথা জানতে পেরে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে একটি চিঠি পাঠান কেএমআরসি-কে । সেই চিঠিতে রাতে কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারা কেএমআরসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে পৃথক একটি চিঠিও লিখেছিলেন। উত্তরে কেএমআরসি জানায়, কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য, তারা চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করছে। তারা কম্পন পরিমাপ করেছে এবং সেটি অনুমোদিত সীমার মধ্যেই রয়েছে। খননের কাজ সাধারণত রাতেই করা হয়। তবে জনসাধারণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে খনন কাজ ঘুমের সময় অর্থাৎ রাত ১২ থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্যে বন্ধ রাখা হবে। যদিও কেএমআরসি-র এই সিদ্ধান্তে খুশি নন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সময়টা খুবই কম বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।অনেক বয়স্ক ও শিশুরা রয়েছেন, যাঁদের শরীরে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।
দুর্গাপিতুরি লেনের মেট্রোর কাজ শুরু হতেই বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরে। এর মধ্যে কয়েকটি বাড়িকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। মেট্রো ঘোষিত ‘নিরাপদ’ বাড়িতে সব মিলিয়ে ৪০ জন বসবাস করেন। এঁরাই ‘বউবাজার মাটি ও মানবকল্যাণ সমিতি’ নামে একটি সংগঠনও তৈরি করছেন। সেই সংগঠনের তরফেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এখন সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলছে। বউবাজারের কাজ শেষ হলেই সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পথে যুক্ত হয়ে যাবে।