সোমবার কৌশিকী অমাবশ্যা সেই উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় কালীপুজোর আয়োজন করা হয় বেহালা থানার অন্তর্গত ১২০ নম্বর ওয়ার্ডের সেনহাটি বাজারে। আর এই পুজো ঘিরে দুষ্কৃতি তাণ্ডবের ঘটনা সামনে এল। কালী পুজোর নিমন্ত্রণ না পাওয়ায় টাকার দাবি জানায় এই দুষ্কৃতিরা। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ সাধারণ বাসিন্দাদের। ফলে আতঙ্কে এলাকার মহিলারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে রাতে কৌশিকী অমাবস্যার কালীপুজো চলাকালীন। অভিযোগ, সেই সময় একদল যুবক এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়ির সামনে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় চিৎকার চেঁচামেচি করে। তাঁদের বক্তব্য যেহেতু পুজোয় নেমন্তন্ন করা হয়নি, তার জন্য তাদেরকে টাকা দিতে হবে। সেই সময় স্থানীয় বেশ কিছু যুবক এবং মহিলারা ছিল তাঁরা টাকা দিতে আপত্তি জানায়। অভিযোগ, সেই সময় এলাকায় সমাজ বিরোধী হিসাবে পরিচিত ভাস্করের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক মহিলা ও পুরুষদের মারধর করে। এরপর ওই এলাকা থেকে চলে যায়। এরপর আবারও ভোরে ফের ভাস্কর ওই বাড়ির সামনে আসে। অভিযোগ আগ্নেয় অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়। ইতিমধ্যেই বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এলাকার মহিলারা আতঙ্কে রয়েছে এমনটাই দাবি তাদের। তদন্তে বেহালা থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘পাশের বাড়িতে পুজো হচ্ছিল। তখন ভস্কর-জয়ন্তরা তোলা চাইতে এসেছিল।’ সঙ্গে এ প্রশ্নও করা হয়, পুজোতে তাদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন তা নিয়েও। এরপর বাড়িতে পুজো হচ্ছে বলে জানানো হয়। সঙ্গে এও বলা হয়, বাড়িতে পুজোর জন্য কেন তোলা দেওয়া হবে তা নিয়েও। এরপর দুষ্কৃতিরা তখনকার মতো চলে গেলেও ফের রাত্রিবেলা এসে টাকা চায়। তোলা চাওয়ার প্রতিবাদ করা হলে রাস্তায় ফেলে মারধরও করে। এরপর মঙ্গলবার সকালে ভাস্করকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শাসাতেও দেখা যায়। এরপর অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয় সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকেও।