হকার এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে উত্তপ্ত হল কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, বিজেপির সজল ঘোষ এদিন তাঁর প্রস্তাব উত্থাপনের সময়ে বলেন, ‘হকার উচ্ছেদের ফলে বহু মানুষ বেকার হচ্ছেন। তাঁদের উপযুক্ত পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা উচিত। পুরসভা এক একটি এলাকায়, এক এক রকমের পন্থা অবলম্বন করছে।’ এর প্রতিবাদ করতে দেখা যায়
শাসক দলের কাউন্সিলার জসিমুদ্দিন, মেয়র পারিষদ স্বপন সমদ্দার, প্রবীণ কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্তকে। শুরু হয় হট্টগোল। এরপরই চেয়ারপার্সন মালা রায় তাঁদের ধমক দিয়ে শান্ত করান। এরপর সজলের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মেয়র মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতায় কোনও হকার উচ্ছেদ হয়নি। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফুটপাথের এক চর্তুথাংশ জায়গায় হকার ব্যবসা করবেন। বাকি দুই তৃতীয়াংশ দিয়ে মানুষ হেঁটে যাবেন। সঙ্গে এও বলেন, ‘পাঁচ দফায় হকার সমীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হলে নবান্নে পাঠানো হবে। এরপরে সারপ্রাইজ ভিজিট করা হবে। ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরে হকারের সংখ্যা দুই লক্ষের উপরে। কিন্তু গত নয় বছরে শহরে হকারের সংখ্যা কত বাড়লো, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি হকার নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির অন্যতম সদস্য, মেয়র পারিষদ তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমার।
বিজেপির কাউন্সিলার বিজয় ওঝা বলেন,‘বেআইনি নির্মাণ বন্ধ নিয়ে শহরে যত হৈচৈ হচ্ছে, সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। বেআইনি নির্মাণ বন্ধে কড়া আইন প্রয়োজন। অথচ পুরসভা তা করছে না।’ বিজয়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করে ফিরহাদ জানান, বেআইনি নির্মাণের সমস্যা একদিনের নয়, ১০০ বছর ধরে চলে আসছে। বিশেষ করে কলকাতার সংযোজিত এলাকায় এই সমস্যা অনেক বেশি। গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল ভেঙে ১২ জনের মৃত্যুর পরে শহর জুড়ে বেআইনি নির্মাণ বন্ধে পুরসভা কী ভাবে কাজ করেছে, তা এ দিনের অধিবেশনে জানান মেয়র।