শহরে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাছ নিয়েও এখন মহা সমস্যায় পড়েছে কলকাতা পুরসভা। কারণ, এই গাছগুলো যেভাবে ঝুঁকে বা হেলে দাঁড়িয়ে আছে তাতে বর্ষায় এই সব গাছ নিয়ে ভয় সব চেয়ে বেশি। এদিকে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃক্ষপ্রেমী ও পরিবেশকর্মীদের অনেকের প্রতিবাদের কথা ভেবে ঝুঁকে পড়া বা হেলে যাওয়া গাছ নিয়ে চটজলদি কঠোর কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না পুরসভার উদ্যান বিভাগ। ওই বিভাগের এক কর্তার বক্তব্য, ‘ঝুঁকে বা হেলে পড়া মানে তো মৃত গাছ নয়। তাই, গাছের দেহে প্রাণের স্পন্দন থাকলে আমাদের অত্যন্ত সচেতন ভাবে পদক্ষেপ করতে হয়। না-হলে আমাদেরই হাতে হাতকড়া পড়বে।’
কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগ সূত্রের খবর, বছর পনেরো আগে, শেষ বার গাছ গণনার হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে বড় গাছের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ। যার মধ্যে অন্তত ৫০০ গাছ ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে হেলে রয়েছে। এই ধরনের গাছ নিয়ে সব চেয়ে বেশি ভয় থাকে বর্ষায়। উদ্যান বিভাগের আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, বৃষ্টির সময়ে গাছের গোড়ার মাটি ভিজে আলগা হয়ে এই ধরনের গাছ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। অথচ গাছ পুরোপুরি পড়ে না-যাওয়া পর্যন্ত পুরসভার কিছুই করার নেই। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার কিছু রাস্তাতেও রয়েছে এই রকম হেলে পড়া গাছ। স্কুলপড়ুয়াদের অনেকেরই অভিভাবক জানাচ্ছেন, এই ধরনের গাছের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন পুরসভার, না-হলে বিপদের আশঙ্কা। গাছ ভেঙে পড়লে রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ারও আশঙ্কা।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে এমনই একটি গাছ গল্ফগ্রিন সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ভেঙে এক রিকশা চালকের উপর পড়লে তিনি বেঘোরে মারা যান।