সন্দেশখালি-কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য, তখন নতুন করে সামনে এল খুনের মামলা। যে সব খুনের মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের, সেগুলিতে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর বুধবার স্থগিতাদেশও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এও জানান, হয়, আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।
সম্প্রতি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় চলছে মামলা। এরই মধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হন দুই মহিলা। এঁদের দাবি, তাঁরা খুনের অভিযোগ তুললেও চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে শাহজাহান শেখের নাম। পুরো অভিযোগ শোনার পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, খুব ভয়ঙ্কর অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত যা শুনলাম, তাতে মামলা অন্য কোনও এজেন্সির হাতে দেওয়া জন্য যথেষ্ট কারণ আছে।’ এই ইস্যুতে সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বছর পাঁচেক আগে খুনের অভিযোগ উঠেছিল এই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ৬ জুন খুন হন প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল নামে তিনজন। ওই ঘটনায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ উঠলেও সিআইডি তদন্তে চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে শাহজাহানের নাম। সেই খুনের অভিযোগ সামনে এনে হাইকোর্টে নতুন করে সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবি জানান পদ্মা মণ্ডল এবং সুপ্রিয়া মণ্ডল। এরপর সুপ্রিয়া মণ্ডল এফআইআর করেছিলেন ন্যাজাট থানায়। তদন্তের পর সেই মামলা থেকে শাহজাহান সহ মোট ২৫ জনের নাম বাদ পড়ে চার্জশিট থেকে। আর পদ্মা মণ্ডলের করা মামলায় তদন্ত করে সিআইডি। সেই মামলার চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল মইজুদ্দিন মোল্লা ও জাভেদ আলি মোল্লার। পরে তাঁরা জামিন পেয়ে যান। সেখানেও বাদ পড়ে শাহজাহানের নাম।