অরাজনৈতিক ব্যানারে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নাম করে নবান্ন অভিযানের ঠিক আগে ঝুলি থেকে বের হল বেড়াল। কর্মসূচির আগের দিন সাংবাদিক বৈঠক করতে বলে ছাত্রসমাজের সদস্যরাই নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করে দিলেন। বলেন, কেউ আরএসএসের সক্রিয় সদস্য, কেউ আবার বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য। অর্থাৎ শাসকদল বার বার যে অভিযোগ তুলছিল, নবান্ন অভিযানের নামে শহরের রাজপথে বিশৃঙ্খলা তৈরির ছক চলছে, নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে গেরুয়া শিবির তা এদিনের পরিচয় প্রকাশে কার্যত সিলমোহর দিল। সঙ্গে এটাও স্পষ্ট হল, যতই অরাজনৈতিক অভিযান বলে দাবি করা হোক না কেন তা মোটেই নয়। ফলে পুলিশ আরও সতর্ক এবং আরও একবার স্পষ্ট করে জানানো হল, মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান বেআইনি।
নবান্ন অভিযানের সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ নামে ওই সংগঠন। মঙ্গলবারের কর্মসূচির রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত জানানো এবং মিছিলকে রাজনীতিকরণ থেকে দূরে রাখার বার্তা দিতেই এই সম্মেলন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন সংগঠনের এক সদস্য শুভঙ্কর হালদার। তাঁকে আরএসএস নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারিয়ে বলে ফেলেন, ‘আমি গর্বিত যে আমি সংঘের একজন সক্রিয় সদস্য।’সঙ্গে বেশ চড়া গলাতেই জানালেন,’বিরোধী রাজনীতি করলেই জেলে থাকতে হবে। আমি তিনবার জেলে গিয়েছি। আর যাঁরা আমার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা ৩৭৬ ধারায় মামলার প্রমাণ দেখাতে পারলে, আমিও দেখে নেব।’ উল্লেখ্য, এই শুভঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধেই নবদ্বীপ থানায় শ্লীলতাহানির মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।