যাদবপুর কাণ্ডে এবার নাম উঠে এল সৈকত সিট-এর। এদিকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেই খবর। কোনও খোঁজ না পাওয়া গেলেও এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট হয়েছে তাঁর-ই প্রোফাইল থেকে। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে।
এরই পাশাপাসি তিনি এও দাবি করেন, হোস্টেলে তিনি বেশ কয়েকমাস যাননি। এদিকে একবেরা ভিন্ন কথা বলছেন হোস্টেল সুপার। তিনি জানাচ্ছেন, সৈকত নিয়মিত হোস্টেলে থাকতেন। সুপার সৈকতের নাম জানতেন না। তদন্ত কমিটি ছবি দেখিয়ে ওকে চিহ্নিত করে। তবে সৈকত ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ‘গত দশ পনেরো দিন যাবত আমি যেখানে থাকি। সেই মেসেই আছি। যারা আমায় খুঁজে পাচ্ছেন না বলে সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করছেন, এমনকি তাদের কারও কারও সঙ্গে গত দু তিনদিনে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ-ও হয়েছে। শুধু ঘটনার দিন নয় গত বেশ কয়েক মাসেই হোস্টেলে গিয়ে ওঠা হয়নি।’
এরই পাশাপাশি যাদবপুরের ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন সৈকত সিট। সঙ্গে এও জানান, ‘কয়েকদিন সোস্যাল মিডিয়া এবং মিডিয়ায় আমার নামে নানা অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে দু একটি কথা না বললেই নয়। এখন এই ঘটনার সঙ্গে আমাকে জোর করে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’ তবে সৈকতের বক্তব্য, ‘এটা তর্জার সময় নয়। তদন্তে প্রকৃত দোষীরা চিহ্নিত হোক। এছাড়া এখনই বলার মতো প্রাসঙ্গিক কিছু থাকছে না। প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ নিতে গিয়েই সমাজমাধ্যমে জানাতে দেরি হল।’
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনায় পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।এই ঘটনায় ফেটসুর বিদায়ী চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদারকেও দায়ী করেছেন অনেকে। তবে যাদবপুর ক্যাম্পাসে তিনি ‘আলু’ নামে অনেক বেশি পরিচিত বলেই জানা যাচ্ছে। পাশাপাসি এও জানা যাচ্ছে অরিত্র ওরফে আলু ৯ অগাস্টের সেই অভিশপ্ত রাতে হস্টেলে ছিলেন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর নেতৃত্বেই কি এই ঘটনা কিনা তা নিয়েও। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, হস্টেলে আহত রক্তাক্ত পড়ুয়াকে ফেলে জেনারেল বডি মিটিং করা হচ্ছিল কি না সে ব্যাপারেও।