রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির রেশ কাটতে না কাটতেই হাওড়ার ডুমুরজোলাতেও একই কাণ্ড। ডাকাতের বন্দুকের নলের মুখে সোনা ব্যবসায়ীরা। ঘটনার তদন্ত শুরুর সঙ্গে উঠে আসে গত বছরের একাধিক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার কথাও। আর এই ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য়কর তথ্য তদন্তকারীদের হাতে আসে গ্রেফতার হওয়া ডাকাতদলের সদস্য়দের জেরা করে।
তদন্তকারীদের প্রথম থেকেই একটা ঘটনা নজর কাড়ছিল যে রানাঘাট, পুরুলিয়া, শক্তিগড়, ব্যারাকপুর, রানিগঞ্জ থেকে ডুমুরজোলা গত কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তার মোডাস অপারেন্ডিটা সব ক্ষেত্রেই প্রায় একই রকম। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকা, তারপর বন্দুক দেখিয়ে দোকানের কর্মী ও মালিকদের আটকে রেখে দোকান সাফ করে দেওয়া। তারপর বন্দুক দেখিয়েই বাইকে চেপে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া। কোথাও কোথাও বাধার মুখে গুলি চালিয়েছে ডাকাতরা। রানাঘাট ও রানিগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইও হয়। এর পাশাপাশি সামনে আসে। ডাকাত দলের বিহার যোগ। এই বিষয়টাও নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছরের ক্রাইম রেকর্ড ঘাঁটলে দেখা যাবে এ রাজ্যের একাধিক অপরাধের ঘটনায় বিহার যোগ আছে। প্রত্যেকটি ডাকাতির ঘটনায় আলাদা আলাদা তদন্ত চলছিল। একাধিক গ্রেফতারিও আছে। কিন্তু চমকে দেওয়ার মত তথ্যটা সামনে আসে রানিগঞ্জের ডাকাতির পর। একজন ব্যক্তিই এই সব ডাকাতির ঘটনার মাস্টার মাইন্ড। শুধু আমাদের রাজ্য নয়। দেশের সাত সাতটি রাজ্যে একের পর এক সোনার দোকানে ও স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার অফিসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িয়ে আছে সেই ব্যাক্তি ও তার গ্যাং। আর তিনি রয়েছেন পটনার বেউর জেলে। সেখান থেকেই চলছে গোটা অপারেশন। চক্রের মাস্টার মাইন্ড কুখ্যাত সুবোধ সিং ওরফে দিলীপ সিং। এর থেকে স্পষ্ট দিলীপের নেটওয়ার্ক কতটা বড়। এখানে বলে রাকা শ্রেয়, ২০১৮ সাল থেকে জেলে বন্দি সুবোধ ওরফে দিলীপ সিং। বিহার এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের সময় গ্রেফতার হয় সুবোধ। গ্রেফতারের সময় তাঁর সঙ্গে ছিল ১৫ কেজি সোনা।