রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ টাকা উধাওয়ের ঘটনায় নাম জড়াল ব্যাঙ্ক কর্মীর

পার্থ রায়

 

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে উধাও গ্রাহকের প্রায় ১ লক্ষ টাকা। আর এই টাকা উধাও-এর ঘটনায় নাম জড়াল ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরই। পুলিশ সূত্রে খবর, গড়িয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের  শ্রীনগর শাখায় টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে এ অভিযোগ উঠছে যে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মীকে আড়াল করার চেষ্টা করছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

গড়িয়ার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক তনুশ্রী দাসের অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর তা নজরে আসতেই খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেরই খেজুরি শাখার এক কর্মীর অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ঢুকেছে। সূত্রে খবর, এই ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম বিনয় দাস। বিষয়টি ধরে ফেলতেই তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান সমগ্র ঘটনা। আর তারপরই টাকা ফেরত দিতে সটান গ্রাহকের বাড়িতে উপস্থিত হন ওই ব্যাঙ্ক কর্মী। খেজুরি শাখার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার গোপাল সরকার বিষয়টি আপোসে মিটিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছিলেন বলে অভিযোগ।

এই প্রসঙ্গে গ্রাহক তনুশ্রী দাস জানান, ‘১৬ তারিখ আমার ফোনে একটা মেসেজ ঢোকে। দেখাচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ টাকা উঠেছে। কিন্তু আমি কাউকেই সেই টাকা ট্রান্সফার করিনি। আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে যাই। তারপর দেখতে পাই, মোটামুটি লাখ খানেক টাকা এইভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে।’

এরই রেশ ধরে তনুশ্রী দেবী এও জানান, এই বিষয়টি জানানোর পরই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। যাতে তিনি এই ঘটনা কাউকে না জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের না করেন তার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ব্য়াঙ্কের তরফ থেকে। তখনই খোঁজ নিয়ে তনুশ্রী জানতে পারেন, বিনয় দাস নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেই টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। এরপর চাপে পড়ে টাকা ফেরত দিতে তনুশ্রীর বাড়িতেই পৌঁছে যান ওই ব্যাঙ্ক কর্মী বিনয় দাস। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার হাত দিয়ে যে আনঅথোরাইজড ট্রান্সফার হয়েছিল, সেটা ফেরত দিতে এসেছি। ভুল করে হয়ে গিয়েছিল।’ কিন্তু কেন এই ভুল, কীভাবে এত বড় বড় ভুল বারবার হয়েছে, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যাঙ্ক কর্মী। তিনি স্বীকার করেছেন, ১৪ দফায় তনুশ্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা সরিয়েছেন তিনি।  আপাতত ওই ব্যাঙ্ক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =