পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করল জাতীয় মহিলা কমিশন। সূত্রে খবর, এদিকে সূত্রে খবর, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা মঙ্গলবার মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন এবং রিপোর্ট জমা দেন। এরই পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পেশ করা হয়েছে এক রিপোর্ট। জাতীয় মহিলা কমিশনের এই রিপোর্টে সন্দেশখালি থানায় মোতায়েন করা কর্মীদের পরিবর্তন, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থাকে জোরদার করা, আইনি সহায়তা এবং পুনর্বাসন সহ অপরাধের শিকার যাঁরা তাঁদের জন্য জন্য সহায়তা পরিষেবা প্রতিষ্ঠা করা এবং কাউন্সেলিং-এর সুপারিশও করা হয়েছে। এরই সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে সন্দেশখালিতে তাঁর এবং ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্যর ভিত্তিতে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সূত্রে খবর, রাজ্যের বসিরহাট পুলিশ জেলায়, মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিশদ বিবরণ রয়েছে ওই রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জোর করে জমি দখল, সেখানে নোনা জল ঢুকিয়ে মাছের ভেড়ি তৈরি, হুমকি ও নির্যাতনের অভিযোগে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সন্দেশখালির পরিস্থিতি। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, তার ভাই সিরাজ, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, অজিত মাইতির মতো নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলেন এলাকার মহিলারা। রীতিমতো লাঠিসোঁটা, ঝাঁটা নিয়ে পথে আন্দোলন করতে নেমে আসে প্রমিলা বাহিনী। লাগাতার চলতে থাকে বিক্ষোভ।
এদিকে যখন এই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে সেই সময়েই সন্দেশখালি পরদর্শনে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সেই সময় সন্দেশখালি পরিদর্শনের রেখা শর্মা দাবি করেন, দিনের পর দিন সেখানে মহিলাদের উপরে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি নিজে ১৮টি অভিযোগ পেয়েছেন। দুইজনের কাছ থেকে ধর্ষণের অভিযোগও পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছাড়া উপায় নেই বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় রেখা শর্মাকে। আর রেখার আগে এমনই কথা শোনা যায় এসসি কমিশনের প্রধান অরুণ হালদারের মুখেও। এসসি কমিশনের প্রধান অরুণ হালদার সহ একটি প্রতিনিধি দলও পরিদর্শন করে সন্দেশখালি। রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট দিয়ে তাঁরাও রাষ্ট্রপতি শাসনের জারির সুপারিশ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। যদিও ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।