একের পর এক বাজি বিস্ফোরণ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের জাতীয় পরিবেশ আদালতের

রাজ্যে একের পর এক বাজি বিস্ফোরণ নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। তবে এবার এই বাজি বিস্ফোরণ ঘটনায় নড়েচড়ে বসল জাতীয় পরিবেশ আদালতও। সূত্রে খবর, বাজি বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি সপ্তাহে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে আদালত। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বেআইনি বাজি বিস্ফোরণের একাধিক ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল রীতিমতো অস্বস্তিতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব বাজি ছাড়া অন্য যে কোনও শব্দবাজি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সেই কারখানা কী ভাবে প্রকাশ্যে চলতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মীরা। একইসুর বিরোধীদের গলাতেও। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এগরা, বজবজ, মালদহ-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় মজুত রাখা বেআইনি বাজির বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে একাধিক জনের। তারই প্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালতের এই পদক্ষেপ। সূত্রে এ খবরও মিলেছে, এই মামলায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পেসো (পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশন)-সহ একাধিক পক্ষকে মামলার সঙ্গে যুক্তও করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৭ জুলাই।

প্রসঙ্গত বলে রাখা শ্রেয়, একের পর এক এই বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডে সবুজ বাজি কারখানার ক্লাস্টার তৈরির পরিকল্পনা করে রাজ্য পরিবেশ দপ্তর। প্রাক্তন পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বিষয়টি নিয়ে বাজি প্রস্তুতকারক সংগঠন, রাজ্য সরকারের অন্য দফতরের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন। কিন্তু তার মধ্যেই গত ১৫ জুন মানসের হাত থেকে পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি বাজি কারখানার রমরমা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসনকে ‘আড়াল’ করতে মানসকে ‘কাঠগড়ায়’ তোলা হয়েছে বলেই মত পরিবেশকর্মীদের একাংশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =