এবার সন্দেশখালির ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউলড কাস্ট কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। আর এই জবাব দিতে হবে আগামী তিনদিনের মধ্যেই, এমনটাও জানা যাচ্ছে। এই রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে কমিশনের ফুল বেঞ্চ সন্দেশখালি যাবে বলেই জানিয়েছেন জাতীয় তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার।
প্রসঙ্গত, এখনও খোঁজ মেলেনি শেখ শাহজাহানের। এদিকে তাঁর দুই শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালি। শাসক নেতাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সন্দেশখালির মহিলারা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে প্রায়শই গ্রামের আদিবাসী মহিলাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। মারধর করা হত স্বামীদের। অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে সিতুলিয়ায় বিজেপি কর্মী ভুজঙ্গ দাসের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা করে। এই ঘটনায় পুলিশি মদতেরও অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের এক মহিলার অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে প্রায় ২০-৩০ জন এসেছিল। আমাদের জানলা ভেঙে দিয়েছে। বাচ্চাকে ফেলে দিয়েছে। আমার চুল ধরে টেনেছে, পোশাক ধরেও টেনেছে।
প্রসঙ্গত, তপ্ত সন্দেশখালিতে ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এরইমধ্যে আবার শাহজাহান-উত্তম-শিবুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় তফসিলি কমিশন। রিপোর্ট তলব করায় নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে। এদিকে সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে শনিবার দুপুরে রাজভবন গিয়েছিল বিজেপি বিধায়কেরা। ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইনও দিয়ে এসেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।