আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছে। এই অশান্তির আঁচ লেগেছে শিশুদের গায়েও। বিশেষত, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে বোমার আঘাতে ৭ থেকে ১১ বছর বয়সী ৫ শিশু আহত হওয়ার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বর্তমানে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারা। এই ঘটনার পরই তৎপর হয়ে ওঠে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এই ঘটনায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। সঙ্গে তলব করা হয়েছে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ও।
সূত্রে খবর, মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে কমিশনের তরফ থেকে লেখা হয়েছে, ‘মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এলাকায় বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি পাঁচ জন শিশু জখম হয়েছে। তারা জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ এই ঘটনাকেই ‘গুরুতর শিশু অধিকার লংঘন হিসাবে চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। পাশাপাশি, আহত শিশুদের দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপের বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল মুর্শিদাবাদে আসতে পারে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে মুখ্যসচিবকে। যেহেতু পঞ্চায়েত ভোটের জন্য পশ্চিমবঙ্গে ‘আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি’ কার্যকর হয়েছে, তাই প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে বলেও এই চিঠিতেই জানানো হয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ফরাক্কার ইমামনগর এলাকার একটি আমবাগানে খেলা করছিল পাঁচ শিশু। সেখানে পড়ে থাকা বলের মতো একটি বস্তুতে লাথি মারতে যায় তাদের এক জন। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। এরপরই দ্রুত স্থানীয়েরা পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করে বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তাদের পাঠানো হয় মহকুমা হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, খোলা মাঠে পড়ে ছিল ওই বোমাগুলি। কিন্তু খোলা জায়গায় বোমা এল কীভাবে বা এই ঘটনার নেপথ্যে কারা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।