ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসকদের দিকে উঠল অভিযোগের আঙুল। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে আধার নির্ভর হাজিরায় জালিয়াতি হচ্ছে এমনটাই ধরা পড়েছে এই পর্যবেক্ষেণে। প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষক-চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আধার নির্ভর বায়োমেট্রিক হাজিরার পরিকাঠামো গড়ার উপরে কড়াকড়ি করেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। সেই হাজিরা পদ্ধতিতে অসৎ উপায় অবলম্বনের অভিযোগ উঠল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে!
এনএমসি-র পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে, ভুয়ো আঙুলের ছাপ তৈরি করে মেডিক্যাল কলেজগুলির একাংশে হাজিরা সুনিশ্চিত করছেন শিক্ষক-চিকিৎসকেরা। এরপরই এই সব চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের। অর্থাৎ, সোজা কথায়, চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধেই জালিয়াতির অভিযোগ এনএমসি’র।
এনএমসি-র তরফ থেকে তোলা এই অভিযোগ মারাত্মক বলে মানছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি। শুধু সতর্কবার্তা নয়। এনএমসি’র কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা। এ রাজ্যে বায়োমেট্রিক হাজিরার পরিকাঠামো সময় মতো তৈরি না হওয়ায় এনএমসি’র কোপে পড়েছে রাজ্যের সবক’টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ। লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানার মুখে পড়েছেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা। এরই মধ্যে হাজিরায় জালিয়াতির অভিযোগ পুরো ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।