দেশজুড়ে হাজার ছাড়াল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতে অ্যাক্টিভ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ পার করল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারতে অ্যাক্টিভ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১০০৯। সারা দেশের সঙ্গে এই খবরে কপালে ভাঁজ বঙ্গবাসীর। কারণ, সংক্রমণ, লকডাউন, অক্সিজেনের অভাব, বেডের জন্য হাহাকার, প্রিয়জনের মৃত্যুর সেই বিভীষিকা এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে সবাইকেই। এর পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিন শরীরে ইমিউনিটি জোরদার করলেও কোথাও গিয়ে করোনা নিয়ে ভয় থেকেই যাচ্ছে সবারই। বঙ্গবাসীর চিন্তা বাড়িয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে করোনা পজিটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন ২, এই খবর সামনে আসতেই। পাশাপাশি পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে বা পিকুতে চিকিৎসাধীন ৯ মাসের এক শিশুও। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ওই সদ্যোজাত ভর্তি হয় গত ২২ মে। অক্সিজেন সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে ওই নবজাতককে।
আইসোলেশনে ৫৫ বছরের এক মহিলাও। গত ১৯ মে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত সাত দিনে এই নিয়ে রাজ্যে ১৮ জন করোনা আক্রান্তর হদিস মিলল। তবে সবচেয়ে বেশি অ্যাক্টিভ রোগী কেরলে, সংখ্যা ৪৩০। আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। আক্রান্তের সংখ্যা ২০৯। পাশাপাশি রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্ত ১০৪ জন। গুজরাত ৮৩ এবং তামিলনাড়ুতে ৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় এখনও পর্যন্ত দেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৪, কেরলে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে তাঁরা এও জানাচ্ছেন, মিউটেট হওয়া এই ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। সেই কারণেই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। সাবধানবাণী রয়েছে কোমর্বিড রোগী,প্রবীণ, অন্তঃসত্ত্বা এবং শিশুদের জন্য।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১৯ মে থেকে ২৬ মে-র মধ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন। সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ হাজার ৯। ভারতের নানা রাজ্যের ল্যাবে পরীক্ষিত কোভিড রোগীদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের নমুনায় জেএন.১ ভ্যারিয়ান্টের হদিশ মিলেছে। পাশাপাশি বিএ.২ ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গিয়েছে ২৬ শতাংশের নমুনায়। অন্যান্য ওমিক্রমের সাব ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত ২০ শতাংশ।