দেশে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

দেশে ফের বাড়ছে ডেঙ্গি। হায়দ্রাবাদে ২,৭৩১ টি নতুন কেস রেকর্ড করা হয়েছে, যা এলাকায় সর্বোচ্চ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯,২৫৪ জন। হায়দরাবাদ শহরে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাক্ষী হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মুম্বই আর দিল্লিতেও।

ডেঙ্গি রোগ বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে চিকিৎসকেরা এও জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ, জল জমে থাকা এবং পরবর্তীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ভেক্টর-বাহিত রোগের বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এই ধরনের পরিবেশ মশার জন্য আদর্শ প্রজনন স্থল প্রদান করে, যার ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়।

ডেঙ্গির লক্ষণ সম্পর্কে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি এমন একটি রোগ যা কখনও কখনও এর লক্ষণ দেখায় এবং কখনও কখনও নয়। এর কিছু সাধারণ লক্ষণ হল, ঠাণ্ডা লাগার সঙ্গে জ্বর, পেশী, হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা, চোখে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া এবং চরম ক্লান্তি।

এই রোগের নিরাময় সম্ভব সম্পর্কে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ‘প্রথমে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। এরপর ডেঙ্গুর চিকিৎসা শুরু করি। ডেঙ্গুতে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া স্বাভাবিক।’

সেক্ষেত্রে প্লেটলেট কাউন্ট বাড়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শ, পেঁপের রস, নারকেল জল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা উচিত। কিউই এবং ড্রাগন ফলের মতো ফল খাওয়াও প্লেটলেট বাড়াতে সহায়ক।

স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, হায়দরাবাদে অক্টোবরের শুরুতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমেছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৫৪ টি ডেঙ্গির ঘটনা রিপোর্ট করা হলেও, এই বছরের অক্টোবরে এখনও পর্যন্ত ৩৯৮ টি রিপোর্ট করা হয়েছে।

দিল্লিতেও বর্ষার পর মশাবাহিত রোগের তীব্রতা বেড়েছে। ২১১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন এ বছর। গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৫৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। সফদরজং হাসপাতাল এবং মহারাজা অগ্রসেন হাসপাতাল থেকে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আশার কথা হল, গত বছরের তুলনায় এ বার কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮৩ শতাংশ কম। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুর-এলাকায় ১৯৩৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বছর সেই সংখ্যা ৩৩১। জেলাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক তৃতীয়াংশে নেমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + thirteen =