বর্ষা বাংলায় পা রাখতেই শুরু হয়েছে মশার দাপট। এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জেলায় জেলায় জমছে। আর এই জমা জলেই মনের সুখে বংশবৃদ্ধি করছে মশাও। এরই মধ্যে এদিক ওদিক থেকে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর যে আসেনি তা নয়। তবে এর মাঝে সামনে এল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট। আর তাতেই কপালে ভাঁজ রাজ্য সরকারের। কারণ, কেন্দ্র সরকারের বার্ষিক ম্যালেরিয়া রিপোর্টে উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে শহর কলকাতা। দেশের ৭৭৫ টি জেলার মধ্যে, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে ষষ্ঠ স্থানে শহর কলকাতা।ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের এই তালিকায় কলকাতার আগে শুধু ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম ও গোড্ডা এবং ওড়িশার কালাহান্ডি, রায়গাডা ও কন্দমল জেলা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে তাতে
ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূমে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১৯৯, ওড়িশার কালাহান্ডিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৩৯৯, ওড়িশারই রায়গাড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮৩৫ জন, কন্দমলে আক্রান্ত ১১১৪৬ জন, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আক্রান্ত ১০২৮৮ জন। আর এরপরই রয়েছে কলকাতা। এখানে আক্রান্ত ১০১৭৭ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, সারা দেশের ৭৭৫ টি জেলার মধ্যে মাত্র সাতটি জেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার করেছে।এর আগে পরপর তিন বছর দেশের সব জেলাকে পিছনে ফেলে ম্যালেরিয়ায় দেশের মধ্যে প্রথম হয় কলকাতা। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ম্যালেরিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩–এ কলকাতায় আক্রান্ত হন ১৭০০২ জন, যা ছিল দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেই তুলনায় কিছুটা উন্নত হয়েছে নতুন রিপোর্টে।২০২২-এও কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হন ২৭২০৯ জন, সেটাও ছিল দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ২০২১ সালে কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হন ২১২৯০ জন,সেটাও ছিল দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।