মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় বুধবার রাতে পথে নেমেছিলেন লক্ষ-লক্ষ মহিলা। কলকাতা তো বটেই, সারা রাজ্যের মহিলারা রাতের দখল নিতে নেমেছিলেন রাস্তায়। আরজি করেও ছিলেন মহিলারা। নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই একদল দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ভিতরে। তছনছ করে দেয় গোটা এমার্জেন্সি বিভাগ। মারধর করা হয় নার্সদের। বাদ যায়নি চিকিৎসক থেকে পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, ওই দুষ্কৃতীরা বলে গিয়েছে, রাতের দখল নিতে দেবে না মহিলাদের। বুধবার দেখে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ফের হামলা করবে তারা।এই ঘটনায় নার্সিং সুপার পরিষ্কার জানান, ‘এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। রাতের দখল নিতে দেবে না সেটাই জানিয়ে গেল।’
স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ বুধবারই বলেছিলেন, ওই দুষ্কৃতীরা সকলে ‘WE WANT JUSTICE’ বলে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। নষ্ট করে জীবনদায়ী ওষুধ। আজ নার্সিং সুপার বলেন, ‘আমাদের সিকিউরিটি নেই। এই ইউনিফর্মটাই সিকিউরিটি।’ কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, ‘পুলিশ কাল আমায় নিজে বলেছেন দিদি আমাদের নর্মাল ড্রেস দিন। একটু লোকানোর জায়গা করে দিন। সিকিউরিটি গার্ডকে বলছে তালা লাগিয়ে দিন।’
অন্য নার্সরাও জানান, ‘এটা পরিকল্পিত। পুরোটাই পরিকল্পিত। বুধবার যে র্যালি বেরবে সেটা তো পুলিশ জানত। তারপরও এক্সট্রা পুলিশ কেন নেই। পুলিশ উল্টে আমাদের বলছে ভগবানের উপর ভরসা করুন।’ আরও এক নার্স বললেন, ‘ওদের মুখ ঢাকা ছিল। একটা ঝামেলা তৈরি করা। ওরা বলে দিয়ে গেছে কালকে দেখে গেছে আজ আবার আসবে।’
তবে শুধু একা নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের এই অভিযোগ নয়। বুধবার মানিকতলা থানার ওসি দেবাশিস দত্তও একই অভিযোগ করেন। বলেন, ‘এটা পূর্ব পরিকল্পিত। ওই নিকৃষ্ট প্রাণীরা সাংবাদিকদের হেনস্থা করেছে। ওরা কী বলছিল তার ক্লিয়ার ভার্সান আপনাদের বলছি আমি, ড্যাশ–ড্যাশ–ড্যাশ, মারো পুলিশ কো, ডক্টর কো মারো। নাম ধরে বলছিল ওরা। এটা আগে থেকেই প্ল্যান ছিল। তবে আমরাও বলছি এই যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে আমরাও পিছু হটব না।’