ভূপতিনগর থানার ওসি আপাতত কোনও তদন্ত করতে পারবেন না, নির্দেশ আদালতের

ভূপতিনগর থানার ওসিকে মঙ্গলবার হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ আধিকারিকের হাজিরার পর এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘ভূপতিনগর থানার ওসি আপাতত কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। এমনকী মামলা প্রস্তুত করতেও পারবেন না। অন্য কোনও অফিসার তদন্ত করলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও চার্জ সিট জমা দিতে পারবেন না। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবেন না।’ এর পাশাাপশি আদালত এও জানতে চায়, কোন কোন মামলায় বিস্ফোরণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সেগুলি এননআইএ-কে জানানো হয়নি তাও। এই বিষয়ে আগামী সোমবার রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। রিপোর্টে আদালত অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য এদিন ক্ষমাও চান ওসি গোপাল পাঠক। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি এদিন এ প্রশ্নও করেন,পুলিশ অফিসার বলে তিনি যা খুশি তাই বলতে পারেন কি না তা নিয়েও। এরপরই রাজ্যের আইনজীবী জানান, ‘আমি ক্ষমা প্রার্থী, যা লেখা হয়েছে, অন্যায়।’ এই বিষয়ে মামলাকালীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, সোমবার রাতে ওসি নিজে বিজেপি পার্টি অফিসে গিয়ে বিধায়কের সামনে হুমকি দিয়ে আসেন এক মামলাকারীকে।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ভগবানপুর বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুবাস জানা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপরেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করার জন্য তাঁর পিছনে ধাওয়া করেন ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক। এদিকে পুলিশকে দেখে ওই ব্যক্তি সটান ভূপতিনগরের বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। পিছনে ভূপতিনগর থানার ওসিও তাঁকে ধাওয়া করতে করতে গিয়ে বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে যান। তারপরেই ভূপতিনগর থানার ওসির সঙ্গে ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। এমনকী বিধায়কের কার্যলয়ের বাইরে চলে আসে সেই বচসা। প্রকাশ্য রাস্তায় উভয়কে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে আদালতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 11 =