পুরীতে বঙ্গ ভবন  তৈরির জন্য রাজ্য়কে জমি ওড়িশা সরকারের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ওড়িশা সরকার বিনা পয়সায় দু’একর জমি রাজ্যকে দিল বঙ্গভবন তৈরির জন্য। এবার এই জমিতে তৈরি হবে রাজ্যের প্রস্তাবিত বঙ্গভবন। কিন্তু এই বঙ্গভবন তৈরীর নকশা কী হবে? তা নিয়ে এদিন আলোচনার জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ও। নবান্ন সূত্রে খবর, পুরীতে প্রস্তাবিত বঙ্গভবন তৈরির জন্য মোট চারটি নকশা তৈরি করা হয়েছে। এই চারটি নকশা অনুমোদনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠাচ্ছে পূর্ত দফতর।

এদিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে এই চারটি নকশার মধ্যে যে নকশাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন দেবেন সেই নকশার ভিত্তিতেই তৈরি করা হবে বঙ্গভবন। নবান্ন সূত্রে খবর পুরী-এর প্রস্তাবিত এয়ারপোর্ট থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রাজ্যকে এই জমি দিয়েছে ওড়িশা সরকার।

জগন্নাথ মন্দির থেকে ছয় কিলোমিটার দূরত্বেই এই জমি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ওড়িশা সফরে গিয়ে এই জমি ও পরিদর্শন করে এসেছিলেন। তারপর ওড়িশা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যাতে দ্রুত এই জমি হস্তান্তর করা হয়। সেই মোতাবেক ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যকে এই জমি হস্তান্তর করা হল।

নবান্ন সূত্রে খবর, গোটা পরিকাঠামো গড়ে তুলবে রাজ্যের পূর্ত দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন এলেই এই বঙ্গভবন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় টেন্ডার দেবে রাজ্য। পাশাপাশি যাতে বিভিন্ন সময়ে রাজ্য থেকেও বিশিষ্ট অতিথিরা গিয়ে বঙ্গভবনে থাকতে পারেন সেই কথা ভেবেই এই নকশা তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার বলেছেন পুরীতে প্রচুর বাঙালি পর্যটক যান। সেক্ষেত্রে এই বঙ্গভবন তৈরি হলে পর্যটকরাও কাছেও এই বঙ্গভবনে থাকার সুযোগ পাবেন। এদিকে আবার দিঘাতেও গড়ে তোলা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই কাজে গতি ও বাড়ানো হয়েছে। রাজস্থান থেকে পাথর এনে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির তৈরির জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 5 =