প্রশস্ত হল এসপ্ল্যানেডের এল–২০ বাস স্ট্যান্ড ও অন্যান্য মিনিবাসের স্ট্যান্ড সরানোর প্রক্রিয়া। কারণ, মেট্রোর পার্পল লাইন স্টেশনের নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখতে ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্জন পার্ক এলাকা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)-কে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ফলে কলকাতা শহরের কেন্দ্রস্থলে পুরনো পরিচিত বাসস্ট্যান্ডের ঠিকানা এবার বদলানোর মুখে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এসপ্ল্যানেড এলাকায় পার্পল লাইনের অন্যতম প্রধান ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন তৈরির কাজ চললেও তা থমকে ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সবুজ সংকেত না মেলায়। অবশেষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই অনুমোদন মেলায় আরভিএনএল এবং কলকাতা পুরসভার মধ্যে একটি কার্যকর সমন্বয় তৈরি হয়েছে । সূত্রে খবর, প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী, আরভিএনএল আগামী ৩০ বছরের জন্য সেনার জমি লিজে পাচ্ছে, যার বাৎসরিক ভাড়া ৩৭.৫ লক্ষ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।আপাতত যা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেই অনুসারে কার্জন পার্ক এলাকায় একটি নতুন বাসস্ট্যান্ড গড়ে তোলা হবে। এখানেই এই বর্তমান বাসস্ট্যান্ডটিকে স্থানান্তরিত করা হবে। সঙ্গে জায়গা দেওয়া হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিনিবাস ও সরকারি বাসরুটকেও। এই নতুন লোকেশনটি এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের খুব কাছেই থাকায় যাত্রীদের চলাচলে বিশেষ অসুবিধা হবে না বলেই দাবি আরভিএনএল–এর।তবে একইসঙ্গে এটাও ঠিক পুরনো অভ্যাস ভেঙে নতুন রুট ও জায়গা মেনে নিতে কিছুটা সময় লাগবে, এমনটাই ধারনা বাস যাত্রীদের।
এদিকে সেনাদের কাছ থেকে এই ছাড়পত্র মেলা প্রসঙ্গে আরভিএনএল –এর এক আধিকারিক জানান, ‘ এসপ্ল্যানেড স্টেশনটি ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জংশন, যেখানেতিনটি মেট্রো লাইন সংযুক্ত হবে বলেই ভবিষ্যত পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই এই স্টেশনকে সময়মতো চালু করতে হলে আশপাশের জমি ক্লিয়ারেন্স অত্যন্ত জরুরি।’ এদিকে আবার পরিবহণ কর্মী ও যাত্রীদের একাংশের ধারনা, কার্জন পার্ক এলাকা বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক সভা, ধর্মীয়অনুষ্ঠানওজমায়েতেরস্থান। ফলে এখানে একটি স্থায়ী বাস স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হলে তার নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে।